এক্সপ্লোর
Advertisement
আমন্ত্রণ-বিতর্কে টানাপোড়েন, বিজেপির বিজয়া সম্মিলনী বয়কট শোভনের, রাতে বৈশাখীর সঙ্গে কথা দিলীপের, কাটবে জট?
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ না জানানোয় গতকাল বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে যাননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। এই প্রেক্ষিতে গতকাল রাতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বৈশাখীর ফোনে কথা হয় বলে বিজেপি নেত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর।
কলকাতা: বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ না জানানোয় গতকাল বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে যাননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। এই প্রেক্ষিতে গতকাল রাতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বৈশাখীর ফোনে কথা হয় বলে বিজেপি নেত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর। সে সময় বৈশাখী শোভনের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান দিলীপকে। এই ফোনালাপের পর জট কী কাটবে, এখন সেটাই দেখার।
রবিবার ঘটা করে বিজয়া সম্মিলনী করে রাজ্য বিজেপি।কিন্তু আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও সেখানে দেখা যায়নি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। আর এতেই দেখা দেয় নতুন বিতর্ক। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি বিজেপির সঙ্গে ফের দূরত্ব বাড়ছে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের?বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এক বছর পেরিয়ে গেলেও, দলে সেভাবে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি বিধায়ক শোভন এবং বৈশাখীকে।
যদিও এরই মধ্যে গত ৫ নভেম্বর, কলকাতায় হোটেলে গিয়ে অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন তাঁরা। সেই বৈঠকের পর জানিয়েছিলেন, আগামী দিনে তাঁরা সক্রিয় হবেন বিজেপিতে। সেই সূত্রেই, গত শুক্রবার শোভনের গোলপার্কের ফ্ল্যাটে যান রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন এবং রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক সাধারন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী।শোভনের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে কীভাবে ব্যবহার করবে বিজেপি তা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয় শুক্রবারের বৈঠকে। গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক চললেও, সূর্যের আলো ফুটতে না ফুটতেই ঘটে ছন্দপতন!!
বিতর্কের মূলে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনী।বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য তাঁরই মোবাইলে ফোন করে আমন্ত্রণ জানানো হয় শোভনকে। কিন্তু তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এরপরই অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন শোভন।
প্রাক্তন মেয়র বলেন, সকালে ফোন এল। তাঁর ফোনে আমায় ডাকা হচ্ছে। কিন্তু তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটা ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসির অ্যাটিটিউড। সেখানে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এ ধরনের ব্যবহার ব্যথিত করেছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি দাবি করেন, সবাইকে ফোন করা হয়েছে। তিনি নিজে ফোন করেছেন।
দিলীপ ঘোষের এই দাবি অবশ্য খারিজ করে দিয়েছেন বৈশাখী। জানিয়ে দেন, বিজয়া সম্মিলনীতে যাচ্ছেন না শোভন।
তৃণমূল থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দূরত্ব তৈরি হওয়ার পরই, দলে সক্রিয় হয়ে ওঠেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে সম্মিলনী-সংঘাতের পরিস্থিতিতে শোভন ও বৈশাখীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রত্না। রত্নার পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি তো শোভনকে বিভাজন করে আনতে পারিনি, বিজেপি আমার দুঃখটা বুঝেছে। মনে হয় বৈশাখী রাজনীতিতেও জোর করে আদায় করতে চাইছেন। আর শোভন যে শিশুসুলভ মতো আচরণ করছে, আমি আগে ওকে এভাবে দেখিনি।
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, অনেকেই থাকা না থাকা নিয়ে দদুল্যমান। মমতা না থাকলে কার দৌড় কতটা জানি। রত্না থাকবে, নতুন করে দায়িত্ব দেওয়ার কী আছে, দায়িত্বে তো আছেই।
প্রায় ১৪ মাস আগে দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেও রাজনীতিতে সক্রিয় হননি শোভন বৈশাখী। বরং জল্পনা বাড়িয়ে, ভাইফোঁটার দিন কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান শোভন, চলচ্চিত্র উৎসবে ২ জনের উপস্থিত থাকা থেকে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈশাখীর দেখা করা। বহু জল্পনা-বিতর্কের মধ্যেই অমিত শার সঙ্গে বৈঠক। ক’দিনের মধ্যেই এবার আমন্ত্রণ বিতর্কে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কে ফের তাল কাটে শোভন-বৈশাখীর।
এই বিতর্কের মাঝেই বৈশাখীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা হল দিলীপের। এখন দেখার জট কাটে কিনা।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
খবর
জেলার
Advertisement