শিশুপাচার: রিসর্টের লোভেই চক্রে সামিল বিজেপি নেত্রী জুহি! দাবি সিআইডি-র
জলপাইগুড়ি: রিসর্ট পাওয়ার লোভেই শিশুপাচার চক্রে সামিল হয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরী। সিআইডি সূত্রে এমনটাই দাবি। দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর। এই তিন জেলার তিন হোমই এখন ১৪টি শিশুর আশ্রয়স্থল! সেই শিশু যাদের জলপাইগুড়ির বিমলা শিশুগৃহ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে! আর এই ১৪টি সদ্যজাতকেই যেনতেন প্রকারে ফিরিয়ে আনতে বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীকে রিসর্ট বানিয়ে দেওয়ার টোপ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ! সিআইডি সূত্রে দাবি, দত্তক সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’, এনজিও-র অনুদান পেতে ধৃত শিক্ষক চন্দনা চক্রবর্তীর সংস্থার হয়ে দিল্লিতে তদ্বির করতেন জুহি চৌধুরী! মোবাইল ফোনের কল রেকর্ডকে উদ্ধৃত করে, সিআইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, হোমের কর্ণধার চন্দনার সঙ্গে প্রায়ই কথা হত জুহি চৌধুরীর! সূত্রের দাবি, সম্প্রতি জুহিকে চন্দনা বলেন, ওরা তো ১৪টি বাচ্চাকে তুলে নিয়ে গেল! কিন্তু ওগুলো আমার ফেরত চাই। তুমি যদি ফেরানোর ব্যবস্থা করতে পার, এবং ঠিকঠাক দামে যদি শিশুগুলি বিক্রি করতে পারি, তাহলে তোমাকে আমি রিসর্ট গিফট করব। অর্থাত, বেআইনি কারবারে সরকারি ছাড়পত্র আদায়ের পারিশ্রমিক! গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, কিছুটা কাজ করে জুহি চন্দনার কাছে, রিসর্ট দাবি করেন! কিন্তু চন্দনা বলেন, আগে পুরো কাজ করো, তারপর! চন্দনার হোম থেকে উদ্ধার হওয়া, ১৪টির মধ্যে ৫টি শিশুকে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলির এই হোমে রাখা হয়েছে। এদের বয়স, ৪ মাস থেকে ৯ বছর। হোম কর্তৃপক্ষের দাবি, শিশুদের এখানে আনার পর, তারা জানতে পারে, এক কন্যাসন্তানকে সিঙ্গাপুর পাঠানোর প্রক্রিয়া আগেই সাড়া হয়ে গিয়েছে! এক কর্তার দাবি, একটা ৪ মাসের বাচ্চাকে সিঙ্গাপুর পাঠানোর কাগজ আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আমাদের কাছে কাগজও পৌঁছেছে। জলপাইগুড়ির, আরও ৫ শিশুর ঠিকানা হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের, রায়গঞ্জের ‘আশ্রয়’ হোম। কোচবিহারের বাণেশ্বরে, ‘নিউ ভারতী স্বল্পকালীন আবাসন’ হোমে রয়েছে উদ্ধার হওয়া ৪টি শিশু। যার মধ্যে তিনটি মেয়ে, একটি ছেলে। বয়স ২, ৪, ৬ ও ১৪ মাস। সিআইডি সূত্রে দাবি, হাতছাড়া হওয়া এই শিশুদেরই আবার পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন পেশায় স্কুলশিক্ষিকা চন্দনা চক্রবর্তী! চেয়েছিলেন, দত্তকের নামে, চড়া দামে বিদেশে বিক্রি করে দিতে! জুহিকে রিসর্ট উপহার দিতে! কিন্তু তার আগেই তিনি ধরা পড়লেন সিআইডি-র জালে!