অডিশনের নামে নগ্ন ফটোশুট, সিনেমার টোপ দিয়ে পর্নোগ্রাফি চক্রের পর্দাফাঁস করল সিআইডি
কলকাতা: এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! অডিশনের নামে নগ্ন ফটোশুট। তারপর সেই নগ্ন ছবি পৌছে যাচ্ছে দেশ থেকে বিদেশে। এমনই এক চক্রের পর্দাফাঁস করল সিআইডি। শিশুকে যৌন নির্যাতনের তদন্ত নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারলেন, সিনেমায় সুযোগ করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে রমরমা চলছে পর্নোগ্রাফির! ১০ বছরের এক বালিকাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। এই মর্মে সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতে গত ১৭ অগাস্ট সিআইডি জালে ধরা পড়েন ফাইট মাস্টার আলম ওরফে হেদায়েত আলি। তাঁকে জেরা করে খোঁজ মেলে ফোটোগ্রাফার হরেকৃষ্ণ ঢালির! দু’জনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সম্প্রতি একটি স্টুডিওয় তল্লাশি চালান সিআইডির শিশু সুরক্ষা বিভাগের গোয়ান্দারা। সেখানে পাওয়া যায় একাধিক মহিলার নগ্ন ছবি ও ভিডিও! তদন্তে উঠে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য! গোয়েন্দারা জানতে পারেন, সিনেমায় সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলে অডিশনের আয়োজন করত এই চক্র। রুপোলি পর্দায় কাজ করার স্বপ্ন নিয়ে অনেকেই অডিশন দিতে আসতেন। কাউকে ডাকা হত টালিগঞ্জে! কাউকে দিঘায়! কারও ভেনু ঠিক হত বনগাঁ! এক অভিযোগকারিণী বলেন, অডিশন হত, তারপর বলত পোর্টফোলিও করতে হবে। ছোট পোশাক পরতে হবে। আরও অনেক কিছু বলত। যারা করতে চাইত না, তাদের বলা হত কাজ দেব না। সিআইডি সূত্রে দাবি, মহিলাদের নগ্ন ছবি ও ভিডিও তুলে, সেগুলি মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করত এই চক্র। বিভিন্ন জায়গায় সেই সব ছবি ছড়িয়ে যেত, সিডি, ডিভিডি, পেন ড্রাইভের মাধ্যমে! অভিযোগকারিণী বলেন, আমরা চিনতাম আলম দাকে। উনি ফাইট মাস্টার। বলতেন অডিশন আছে। আমি ২ বার গিয়েছি। অভিনয় করে দেখাতাম। কিন্তু উনি যে এরকম তা বুঝিনি। সিআইডি যখন বলল আমরা শকড! এই তরুণী-সহ বেশ কয়েকজন সিআইডির কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। সিআইডির দাবি, এই চক্রে আরও অনেকে জড়িত। তারা শীঘ্রই ধরা পড়বে বলে আশাবাদী গোয়েন্দারা।