Chandannagar Violence: চন্দননগরে বেআইনি মদের ঠেকে তাণ্ডব, বোমাবাজি, দোকানে আগুন, আহত পুলিশ
পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, ছোড়া হয় বোতলও, তাণ্ডবে আহত হন ৪ পুলিশকর্মী সহ মোট ১০ জন
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি : বেআইনি মদের ঠেকে বচসাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হুগলির চন্দননগরের উর্দিবাজার এলাকা। বোমাবাজি, পরপর দোকানে আগুন, ভাঙচুর। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, ছোড়া হয় বোতলও। তাণ্ডবে আহত ৪ পুলিশকর্মী সহ ১০। এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা। আপাতত কয়েকটি বাজার বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। বসানো হয়েছে পিকেট। আটক করা হয়েছে ৮ জনকে।
দাউদাউ করে জ্বলছে দোকান। ভস্মীভূত দোকানের জিনিসপত্র। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ভাঙা মদের বোতল, পানীয়র বোতল। বেআইনি মদের ঠেকে দুষ্কৃতীদের মধ্যে বচসাকে কেন্দ্র করে, এভাবেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে হুগলির চন্দননগরের উর্দিবাজার এলাকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাত ১০টা নাগাদ ঘটনার সূত্রপাত। মদের দাম বেশি নেওয়া নিয়ে দোকানদারের সঙ্গে ক্রেতাদের বচসা শুরু হয়। তারপরই দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি।
কিছুক্ষণের মধ্যেই মদের ঠেকের গন্ডগোল নেমে আসে রাস্তায়। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। মুহূর্মুহূ বোমাবাজির জেরে পরপর ৫টি দোকানে আগুন লেগে যায়। একটি রেস্তোরাঁ-সহ ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি দোকান। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ ও দমকল। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় কাচের বোতল। যার জেরে আহত হন চারজন পুলিশকর্মী সহ মোট দশজন। যারপরেই র্যাফ ও বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বসানো হয় পুলিশ পিকেট। পাশাপাশি এরপরই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। চন্দননগর পুর নিগমের ৫, ৬, ৭, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে মাইকে প্রচার করে পুলিশ। ড্রোনেও চলে নজরদারি। আপাতত লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার, নীচুপট্টি, চাউলপট্টি, উর্দি বাজার, বিন্দুবাসিনী পাড়ায় সব দোকান পাট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি ঘটনায় মোট ৮ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুপুরে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।