Coal Smuggling Scam: পশ্চিমবঙ্গের কয়লা পাচার হতো ভিন্ রাজ্যে, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে হানা সিবিআই-এর
সিবিআইয়ের দাবি, লালা-ঘনিষ্ঠ দুই ব্যবসায়ী এই কারবারে যুক্ত, দেশের কোন কোন রাজ্যে কয়লা পাচারের সিন্ডিকেট কাজ করছে, একইসঙ্গে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা
প্রকাশ সিন্হা, কলকাতা: কয়লাকাণ্ডে এবার ভিনরাজ্যে হানা দিল সিবিআই। গতকাল থেকে উত্তরপ্রদেশের মোগলসরাই ও মধ্যপ্রদেশের চন্দেরিতে চলছে সিবিআইয়ের অভিযান।
সিবিআইয়ের দাবি, এ রাজ্যের বিভিন্ন খনি থেকে বেআইনিভাবে কয়লা তুলে তা ভিন্ রাজ্যে পাচার করা হত। সিবিআইয়ের দাবি, এভাবেই রাজ্য থেকে কয়লা পৌঁছত উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে।
সেখানে লালা-ঘনিষ্ঠ দুই ব্যবসায়ী এই কারবারে যুক্ত ছিলেন বলে সিবিআইয়ের দাবি। দেশের কোন কোন রাজ্যে কয়লা পাচারের সিন্ডিকেট কাজ করছে, একইসঙ্গে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে সিবিআই।
আরও পড়ুন :
Coal Smuggling Scam:কয়লা কাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে লালার ‘হ্যান্ডলার’!
গতকাল, সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়, রবিবার শিলিগুড়ি থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, আটক ব্যক্তি কয়লা পাচার চক্রের পাণ্ডা অনুপ মাঝি ওরফে লালার প্রধান হ্যান্ডলার।
তাঁকে জেরা করে ২৫ থেকে ৩০ জন প্রভাবশালীর নাম মিলেছে। যাঁদের কাছে কয়লা পাচারের বিপুল টাকা নিয়মিত পৌঁছত।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, আটক ব্যক্তি পুরুলিয়ার বাসিন্দা। কয়লা কাণ্ডে ফেরার অনুপ মাঝি ওরফে লালার বাড়িও পুরুলিয়াতেই।
সিবিআই সূত্রে দাবি, লালার নিতুড়িয়ার বাড়ি থেকে একটি রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়। কয়লা পাচারের কত টাকা কাকে পাঠানো হত, তা ওই রেজিস্টারে লেখা আছে। সেই রেজিস্টারে শিলিগুড়ি থেকে আটক ব্যক্তির সই ও নাম রয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের।
সিবিআই সূত্রে দাবি, আটক ব্যক্তি জেরায় জানিয়েছেন, প্রতি সপ্তাহে পুরুলিয়া থেকে একটি সাধারণ গাড়িতে কয়লা পাচারের নগদ ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা নিয়ে তিনি বেরোতেন। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে, নির্দিষ্ট লোকের হাতে টাকা তুলে দিতেন।
আটক ব্যক্তির বয়ানের সঙ্গে লালার রেজিস্টারে লেখা নাম ও টাকার অঙ্ক মিলিয়ে দেখছে সিবিআই। অন্যদিকে, কয়লা পাচারকাণ্ডে কলকাতার আরও ১২ জন ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করেছে ইডি।
ইডি সূত্রে দাবি, এই ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে কয়লা পাচারের টাকা যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রর অ্যাকাউন্টে যেত। তারপর তা পৌঁছত প্রভাবশালীদের কাছে।
এসবের মাঝে এদিন সুপ্রিম কোর্টে লালা-মামলার শুনানি পিছিয়েছে। পরবর্তী শুনানি ১০ মার্চ।