Cooch behar: প্রতারকের খপ্পরে অ্যাপ ডাউনলোড করে অ্যাকাউন্ট থেকে আড়াই লক্ষ টাকা গায়েব ব্যবসায়ীর
তিনি গুগল করে স্টেট ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ার নম্বর দেখে ফোন করেছিলেন। ব্যাঙ্কের লেনদেনের সীমা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, দিনহাটা (কোচবিহার): ব্যাঙ্ক জালিয়াতির শিকার দিনহাটার ব্যবসায়ী। সম্প্রতি দিনহাটার স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অনলাইন ব্যাঙ্কিং শুরু করেন দিনহাটার ব্যবসায়ী মধুসূদন মহেশ্বরী। তিনি গুগল করে স্টেট ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ার নম্বর দেখে ফোন করেছিলেন। ব্যাঙ্কের লেনদেনের সীমা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। অভিযোগ এরপর তাকে একটি নম্বর থেকে ফোন করে মোবাইল ফোনে এনি ডেক্স নামে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। সেই অ্যাপ ডাউনলোড করার পর তার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে যায়। দিনহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যবসায়ী।
কিছুদিন আগেই কলকাতায় বেসরকারি সংস্থার এক তরুণী কর্মী এভাবেই প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। হরিদেবপুরের ওই তরুণী বাতিল বিমান যাত্রার টিকিটের টাকা ফেরত পেতে গিয়ে প্রতারকের খপ্পরে পড়েছিলেন। গুগলের মাধ্যমে টাকা ফেরত পেতে একটি নম্বরে ফোন করেছিলেন তিনি। সেখানে ফোন করতেই তাঁকে ওই অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়েছিল। সেই অ্যাপ ডাউনলোডের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছিল ৬৬ হাজার টাকা। বেসরকারি সংস্থার কর্মী ওই মহিলা দিল্লি যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট কিনছিলেন। কিন্তু উড়ান বাতিল হওয়ায় তিনি টিকিটের টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য গুগল থেকে পাওয়া সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার একটি নম্বরে ফোন করে প্রতারকদের খপ্পরে পড়েন।
এরইমধ্যে জাল চেক ভাঙিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠল। তৈরি করা হয়েছিল নকল আধার ও প্যান কার্ড। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অশোকনগরের ব্যাঙ্ক জালিয়াতির তদন্তে নেমে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ১১ জুলাই ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের ঈশ্বরীগাছা শাখার তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগে উল্লেখ, ৬-৭ জন গ্রাহকের ১৩টিরও বেশি চেক জাল করে তুলে নেওয়া হয়েছে ৩০ লক্ষেরও বেশি টাকা। জাল চেক ভাঙিয়ে মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকেও টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, যাদের চেক জাল করা হয়েছে, সেইসব গ্রাহকদের নামে নকল আধার ও প্যান কার্ড তৈরি করা হয়েছিল। এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে অশোকনগর থানার পুলিশ। জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাঙ্ক কর্মীদের একাংশ জড়িত বলে গ্রাহকদের অভিযোগ। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।