Covid19 Awareness: করোনা আবহে অসচেতনতার ছবি ধূপগুড়িতে, রেড জোন করার ভাবনা প্রশাসনের
করোনা চলে গেছে এমনটা ভেবে, কিছু সাধারণ মানুষও, বেপরোয়া মনোভাব দেখিয়ে, সব সতর্কতাকে আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন, যার পরিণাম ভুগতে হয়েছে সকলকে।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, ধূপগুড়ি: করোনা নিয়ে আত্মতুষ্টির পরিণাম যে কী ভয়ঙ্কর হতে পারে, দ্বিতীয় ঢেউয়ে হাতেনাতে তার প্রমাণ পাচ্ছে দেশবাসী। প্রথম দফার সংক্রমণ একটু কম হতেই, দেশের হেভিওয়েট নেতাদের কেউ কেউ তড়িঘড়ি ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, তাঁরা করোনাকে হারিয়ে দিয়েছেন। এই বলে নিজেদের পিঠ চাপড়াতে শুরু করেছিলেন।
করোনা চলে গেছে এমনটা ভেবে, কিছু সাধারণ মানুষও, বেপরোয়া মনোভাব দেখিয়ে, সব সতর্কতাকে আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। আর এই আত্মতুষ্টি ও অসতর্কতার মারাত্মক পরিণাম হল, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ভারত। সাড়ে তিন লক্ষের কাছাকাছি মৃত্যুর সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে এখন রাজ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নিয়ম-বিধি মেনে খুলছে দোকানপাট।
কিন্তু, সেই নির্দিষ্ট সময়ও জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি মার্কেটের ছবিটা আঁতকে ওঠার মতো। অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। কেনাকাটার হুড়োহুড়িতে উধাও দূরত্ব-বিধি। অথচ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই ধূপগুড়িতেই মোট আক্রান্তের সংখ্যা দু-হাজার ছাড়িয়ে গেছে। পুর এলাকায় মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের গ্রামীণ এলাকা মিলে সংখ্যাটা প্রায় ৪০ জন। এই পরিস্থিতি দেখে রীতিমতো শঙ্কিত চিকিৎস্করা।
ধূপগুড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ ঘোষ বলেন, আজকের দিনে ধুপগুড়ির অবস্থা শোচনীয়, ধূপগুড়ি এখন রেড জোনের জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলাশাসক, স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ পুরসভা কে নিয়ে আলোচনা করে রেড জোন লাগু করা যায় কি না এটা ভাবার সময় এসেছে, আমার ধারণা এই মুহুর্তে রেড জোন করতে পারলে এটা একটা ভালো পদক্ষেপ হবে।
রেড জোন চালুর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে ধূপগুড়ি পুরসভাও। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ সিংহ বলেন, এটা খুব উদ্বেগজনক সবাই আতঙ্কগ্রস্ত, এটা ওভারকাম করা সম্ভব যদি মানুষ সচেতন হয়, রেড জোন নিয়ে প্রশাসন কে ভাবতে হবে এটা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে প্রশাসন যা সিদ্ধান্ত নেবে পুরসভা সব ভাবে সহযোগিতা করবে, এখন প্রচুর মানুষ বিনা মাস্কে ঘুরে বেড়াচ্ছে পুলিশকে বলেছি আপনাদের আরও কঠোর হতে হবে।
গতবছর দেশে করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার পর, সংক্রমণ অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকাকে রেড জোন, অরেঞ্জ জোন বা গ্রিন জোনে ভাগ করা হয়েছিল। করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় অবশ্য তেমন কিছু ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় ধূপগুড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, সেরকমই কড়া পদক্ষেপের দাবি তুলছেন।