![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
লকডাউনে রোজ ৫০ টাকায় ডায়ালিসিস, কলেরার শঙ্কায় সুন্দরবনে পরিশুদ্ধ জলের দাবি সিপিএম নেতার
দ্রুততার সঙ্গে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছেন ফুয়াদ।
![লকডাউনে রোজ ৫০ টাকায় ডায়ালিসিস, কলেরার শঙ্কায় সুন্দরবনে পরিশুদ্ধ জলের দাবি সিপিএম নেতার Cyclone Amphan: Sundarban may face epidemic like Cholera লকডাউনে রোজ ৫০ টাকায় ডায়ালিসিস, কলেরার শঙ্কায় সুন্দরবনে পরিশুদ্ধ জলের দাবি সিপিএম নেতার](https://static.abplive.com/wp-content/uploads/sites/3/2020/06/01225913/Fuad.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: ৫০ টাকায় ডায়ালিসিস। সোমবার সকাল থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত প্রতিদিন ডায়ালিসিস চলছে। এখনও পর্যন্ত ১৭০০ রোগী ডায়ালিসিস করিয়েছেন। দুর্যোগ এবং বিপর্যয়ের মধ্যে এই পরিষেবা দিচ্ছেন প্রয়াত সিপিএম নেতা তথা বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ হাসিম আবদুল হালিমের ছেলে ফুয়াদ হালিম। নিজের হাসপাতালেই এই স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছেন ফুয়াদ।
এবিপি আনন্দকে ফুয়াদ জানিয়েছেন, “আপাতত ৩০ জুন পর্যন্ত এই স্বাস্থ্য পরিষেবা চলবে। সোমবার সকাল থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত প্রতিদিনই রোগীদের ডায়ালিসিস করা হচ্ছে।” ৫টি শিফটে এই ডায়ালিসিস হচ্ছে বলে জানিয়েছে ডঃ ফুয়াদ।
স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুন্দরবনের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন এনআরএস হাসপাতালের এই প্রাক্তনী। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় উমপুনে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে সুন্দরবন। গোসাবা, সন্দেশখালি, রায়দিঘি সহ সমু্দ্র উপকূলবর্তী অঞ্চল কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে। ভেঙেছে নদীবাঁধও। যার ফলে নোনা জলে ডুবে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। চাষের পর চাষের জমি জলের তলানিতে। ডুবেছে মাছ চাষের ভেরিও। জল থৈ থৈ পুকুর, ডোবা, নালা। ফুয়াদ হালিমের আশঙ্কা, এই অবস্থায় যদি প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের কাছে পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া না যায়, তাহলে আসতে চলেছে করোনার থেকেও বড় বিপদ। হতে পারে কলেরার মতো মহামারী।
আয়লার পরও এমন স্বাস্থ্য সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছিল সুন্দরবন। তাই সিপিএম নেতা তথা ডাক্তার ফুয়াদ হালিমের সরকারের কাছে দাবি, “এখনই সুন্দরবনে পৌঁছে দেওয়া হোক পরিশুদ্ধ পানীয় জল।” তাঁর কথায়, প্রাক বর্ষায় সুন্দরবনের জলে একটি তারতম্য ঘটে। তবে এবার উমপুনের কারণে জলের সেই ভারসাম্যে পরিবর্তন হবে। এতে সুন্দরবনের জলে ‘লাইটিক ফাজের ঘনত্ব কমবে। যার ফলে জলে ‘ভিব্রিও কলেরি’ নামের ব্যাকটেরিয়া ক্রমশ শক্তিশালী হবে। আর সেই জল খাওয়াতেই কলেরার মতো প্রাণঘাতী রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ফুয়াদ হালিমের পরামর্শ, সংক্রমণ বাড়ার আগেই যদি আক্রান্তের নমুমা পরীক্ষা করে জানা যায় কীভাবে এবং কোথায় সংক্রমণ হচ্ছে তাহলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব। করোনা, লকডাউনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া যত দ্রুত করা সম্ভব ততই মঙ্গল। সঙ্গে দ্রুততার সঙ্গে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছেন ফুয়াদ।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)