(Source: Poll of Polls)
Mamata on Yaas Cyclone: 'কেউ যেন দূষিত জল খেয়ে মারা না যান, ত্রাণ শিবিরে কেউ যেন অসুস্থ না হন', আধিকারিকদের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, "পেটের অসুখ দেখা দিতে পারে এইসময়, পরিশ্রুত পানীয় জলের সরবরাহ বজায় রাখতে হবে..."
কলকাতা: ‘বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে নজর দিতে প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন নবান্নে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকেও সজাগ নজর দিতে আধিকারিকদের নির্দেশ দেন তিনি। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জলের সরবরাহ বজায় রাখার নির্দেশ দেন। মমতা বলেন, ‘বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে নজর দিতে হবে। পরিশ্রুত পানীয় জলের সরবরাহ বজায় রাখতে হবে।’
মুখ্যমন্ত্রীর মতে, পেটের অসুখ দেখা দিতে পারে এইসময়। তাই আগেভাগে সেই দিকে সতর্ক দৃষ্টি তাঁর। বললেন, ‘ত্রাণ শিবিরে কেউ যাতে অসুস্থ না হয় তা দেখতে হবে। মনিটরিংয়ের জন্য কমিটি করুক স্বাস্থ্যসচিব।‘
তিনি বলেন, ‘খাবারের সমস্যা যাতে না হয় সেদিকে খাদ্যসচিবকে নজর দিতে হবে। বিদ্যুতের কোনও সমস্যা দেখা দিলে তা তৎপরতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। কেউ বিদ্যুতের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ জানালে দ্রুত তার সমাধান করতে হবে।‘
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন দুর্গত এলাকার মানুষকে পানীয় জল সরবরাহ করতে হবে। ব্লকে ব্লকে জলের ব্যবস্থা করতে হবে। পানীয় জল থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হন। কেউ যাতে দূষিত জল খেয়ে মারা না যান, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।‘
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় ১৫ দিন ধরে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুর্যোগের কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, তার চেষ্টা চালানো হয়েছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, রাতে আরেকটি কোটাল আসছে। সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
ওড়িশার বালেশ্বরে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ঝড়ের তাণ্ডব, প্রবল জলোচ্ছ্বাসের জেরে রাজ্যের ১৪টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত। সবথেকে প্রভাব পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। শঙ্করপুর, দিঘা, মন্দারমণি-সহ বেশ কিছু জায়গা বন্যা কবলিত।
এদিনের বৈঠকে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে একটা প্রাথমিক খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১ কোটিরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। ১২৪টি জায়গায় বাঁধ ভেঙেছে। গোসাবার বহু গ্রাম প্লাবিত। ৩ লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া, কেন্দামারিতে অনেক বাড়ি জলমগ্ন। ভরা কোটাল একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের দাপট, দু’য়ে মিলে বড়সড় ক্ষতি হয়েছে বাংলার।
মুখ্যমন্ত্রী যোগ করেন, ১৫ লক্ষের বেশি মানুষকে রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে। ১৪ হাজার রিলিফ ক্যাম্প গঠন করা হয়েছে। ১০ লক্ষ ত্রিপল, রিলিফ - ১০ কোটি টাকার রিলিফ পাঠানো হয়েছে।