Yaas Cyclone: অসমাপ্ত তাজপুর-শঙ্করপুর সমুদ্রবাঁধ নির্মাণের কাজ, ইয়াস-আতঙ্কে দিন কাটছে গ্রামবাসীদের
মাঝে বাঁধ নেই, ফলে সমুদ্র আর গ্রাম এখন মুখোমুখি। দুর্যোগ এলেই আবার সমুদ্রের জল প্লাবিত করবে গ্রাম। দুর্গতির কথা ভেবে, ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের...
ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: গত বছর ঠিক এই সময়ই আমফানের রুদ্রমূর্তিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের শঙ্করপুর, তাজপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় শঙ্করপুর থেকে তাজপুর পর্যন্ত পাথর ও গাছের খুঁটি দিয়ে তৈরি বাঁধ। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আরও একটা ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এলে প্রভাব পড়তে পারে পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলে। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাসিন্দারা। কারণ, সমুদ্রের জল গ্রামে ঢোকা আটকাতে যে বাঁধ তৈরি হচ্ছে, তা অর্ধসমাপ্ত।
আমফানের জেরে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাওয়া বাঁধের জায়গায় নতুন করে কংক্রিটের বাঁধ তৈরির কাজ চলছে। কিন্তু বছর খানেক হয়ে হলেও, কাজ হয়েছে ২ কিলোমিটার। আরও এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের কাজ বাকি।
ইয়াসের সতর্কতা জারি হওয়ায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে কাজ। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের আগে লক্ষ্যপূরণ হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান ঠিকাদারই। তিনি বললেন, ভোট, করোনার জেরে কাজে ব্যাঘাত। লেবার কমে যায়। প্রশাসন থেকে দ্রুত কাজ শেষের নির্দেশ। তবে কাজ শেষ হবে কিনা জানি না।
তবে এই পরিস্থিতিতে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছে প্রশাসন। রামনগর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মহাপাত্র বলেন, সাইক্লোন সেন্টারগুলি তৈরি রাখা হয়েছে। শুকনো খাবার মজুত রেখেছে প্রশাসন। বিপর্যয় মোকাবিলা দল তৈরি।
মাঝে বাঁধ নেই। ফলে সমুদ্র আর গ্রাম এখন মুখোমুখি। দুর্যোগ এলেই আবার সমুদ্রের জল প্লাবিত করবে গ্রাম। দুর্গতির কথা ভেবে, ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের।
আশঙ্কার প্রহর গুণছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি অঞ্চলের বাসিন্দারাও। এক বছর আগে বিশে মে এই সব এলাকা তছনছ করে দিয়েছিল অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান। আমফানের তাণ্ডবে একাধিক নদীবাঁধ ভেঙেছিল রায়দিঘি এলাকায়। কিছু বাঁধ নিচু থাকায় উপড়ে পড়েছিল জল।
এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এবার রায়দিঘির রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সতর্কবার্তা। তার থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আগেভাগে নদীবাঁধ উঁচু করার কাজ চলছে। মথুরাপুর দুনম্বর ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় সারানো হচ্ছে মণি নদীর বাঁধ।