(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
East Burdwan: ৩০ টাকার লটারি কেটে নিজেই কোটিপতি হয়ে গেলেন লটারি-বিক্রেতা
প্রত্যেক দিনই মানুষকে বলতেন, একটা লটারির টিকিট কাটুন...
কমলকৃষ্ণ দে, ভাতার (পূর্ব বর্ধমান): লটারি বিক্রি করতেন অন্যের ভাগ্য পরীক্ষা করতে। এবার নিজেই ৩০ টাকার লটারি কেটে রাতারাতি হয়ে গেলেন কোটিপতি।
পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের লটারি ব্যবসায়ী রামকৃষ্ণ দাস। ১৮ বছর ধরে লটারির ব্যবসা করছেন। প্রত্যেক দিনই মানুষকে বলতেন, ভাগ্য পরীক্ষা করুন, একটা লটারির টিকিট কাটুন।
গতকাল সন্ধ্যায় তিনি অন্য এক লটারি বিক্রেতার কাছ থেকে ৩০ টাকা দিয়ে একটি লটারির টিকিট কেটে নিজের ভাগ্যপরীক্ষা করেন। রাতেই তাঁর কাছে খবর আসে তিনি নাকি কোটিপতি হয়ে গেছেন।
রামকৃষ্ণ কোটিপতি হওয়ায় খুশী লটারি ব্যবসায়ীর পরিবার। বাড়িতে রয়েছে ৫ ভাই ও দুই বোন। এছাড়াও স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে রামকৃষ্ণর সংসার।
নিজস্ব জমি জায়গা নেই। সরকারি খাস জমিতে বাড়ি করে বসবাস করছেন সপরিবারে। একদিন কাজে না গেলে ভাতের হাড়ি চড়ে না সংসারে। এক কথায়, দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার।
পরিবার সূত্রে পাওয়া একটি ঘরেই দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন রামকৃষ্ণ। ঘরের মধ্যেই করতে হয় রান্নাবান্না। পরিবার জানিয়েছে, তাদের একটাই স্বপ্ন। তা হল, একটা ভালো বাড়ি তৈরি করা। রামকৃষ্ণর স্ত্রী চাইছেন, স্বামী লটারির ব্যবসা ছেড়ে টোটো চালাক।
অন্যদিকে রামকৃষ্ণ দাস জানান, লটারির ব্যবসা করে বেশ কিছু টাকার ঋণ হয়েছে। সেই টাকা আগে শোধ করবেন। বললেন, রথের দিন এই টাকা আমাকে স্বয়ং শ্রীজগন্নাথ দিয়েছেন।
এদিকে, সোমবার ভর সন্ধেয় প্রকাশ্যে খুন হন তৃণমূলের মঙ্গলকোটের লাকুড়িয়ার অঞ্চল সভাপতি অসীম দাস। পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধেয় মঙ্গলকোটের কাশেমনগরে দলীয় কর্মসূচি সেরে, বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল নেতা। রাস্তায় ওঁত পেতে ছিল আততায়ীরা।
স্থানীয় সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, সিওর বাজারের কাছে পৌঁছতেই, অসীম দাসকে দাদা বলে ডেকে ওঠে এক বাইক আরোহী দুষ্কৃতী। তৃণমূল নেতা বাইক থামাতেই, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালায় আততায়ী।