Hooghly: মাটির বাড়িঘর থেকে রাস্তার কল, জলে ডুবে সবকিছুই, সঙ্কটে আরামবাগবাসী
বন্যায় ইতিমধ্য়েই ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার পরিবার, ত্রাণসামগ্রী নিয়ে হাহাকার উঠেছে আরামবাগে...
মোহন দাস, আরামবাগ: রাস্তার কল ডুবে রয়েছে। গ্রামের রাস্তা জলমগ্ন, কোথাও আবার নদীর মতো ঢেউ। মাটির বাড়িঘর সব জলে ডুবে গিয়েছে।দ্বারকেশ্বর, দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরীর বাঁধ ভেঙে শনিবার থেকে প্লাবিত আরামবাগ। বৃষ্টি কমলেও কমেনি দুর্ভোগ। বন্যায় ইতিমধ্য়েই ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার পরিবার।
এই ক'দিনে মানুষের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক হয়ে উঠেছে। সোম ও মঙ্গলবার বৃষ্টি না হওয়ায় অনেকটাই উদ্বেগ কমেছিল প্রশাসনের। কিন্তু ফের বুধ ও বৃহস্পতিবার ফের বৃষ্টি হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের।
পাশপাশি, এই বৃষ্টিতে নাজেহাল সাধারণ বানভাসি মানুষ। তবে একটু আশার আলো তাঁরা দেখতে পেয়েছেন। কারণ জল কিছুটা হলেও কমেছে। এদিকে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে হাহাকার উঠেছে আরামবাগে। অনেকেই বলেছেন, তাঁরা কোনও ত্রাণসামগ্রী, খাবার ও পানীয় জল কিছুই পাননি।
যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার গ্রামে গ্রামে জলমগ্ন এলাকায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়া হয়। বাসিন্দাদের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েতের তরফে সমস্ত দুর্গত এলাকায় আগেই ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার আলাদা করে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে এলাকায় ফের ত্রাণ দেওয়া হল।
বন্যা হওয়ার পর থেকে এই প্রথম ত্রাণ পেলেন বানভাসিরা। অনেকেই বলেছেন, বৃষ্টির মধ্যে অত্যন্ত কষ্ট করেছিলাম বাড়ির ছাদেই। পরিবারের অন্যদের সঙ্গে শিশুসন্তানকে নিয়ে ছিলাম। তারাও খাবার পায়নি। প্রথম ত্রাণ মেলায় কিছুটা স্বস্তিতে বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার আরামবাগের মহকুমাশাসক এলাকায় যান। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি।
হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হুগলির ৩টি মহকুমা, ১৪টি ব্লক ও ৩৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত।
এরমধ্যে রয়েছে, খানাকুল ১ ও ২ নম্বর ব্লক, পুরশুড়া, জাঙ্গিপাড়া, তারকেশ্বর ব্লক। আরামবাগ ও শ্রীরামপুর দুই পুরসভাও ক্ষতিগ্রস্ত। হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ২৮ হাজার হেক্টরের বেশি কৃষিজমি জলের তলায়। নষ্ট বিঘার পর বিঘা জমির ফসল। প্রায় ১২০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। জেলায় ৮৪টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
কবে কাটবে দুর্ভোগের এই সময়? কবে ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন?