ক্যানিংয়ে গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে
অভিযোগ, স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় প্রীতি সর্দার নামে ওই গৃহবধূকে মারধর করে গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে খুন করা হয়।
শান্তনু নস্কর, ক্যানিং: দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ক্যানিং থানার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গলাডহরা গ্রামে গতকাল ওই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় প্রীতি সর্দার নামে ওই গৃহবধূকে মারধর করে গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে খুন করা হয়। গৃহবধূর চিত্কার শুনে তাঁকে গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় প্রতিবেশীরা নিয়ে যান ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী ঝন্টু সর্দার ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিয়ের পর থেকেই অত্যাচার করা হত ওই গৃহবধূর উপর। এমনটাই অভিযোগ প্রীতির পরিবারের। প্রীতির পরিবার জানিয়েছে, স্বামী সহ শ্বশুর, শাশুড়ি সকলে মিলেই অত্যাচার করতো বলে অভিযোগ। অভিযোগ, তাঁরাই এদিন মারধর করে গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে ওই গৃহবধূর। তাঁদের আরও অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে টাকা পয়সা সহ বিভিন্ন দাবি করত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সেই দাবি না মেটালেই অত্যাচার করা হতো বলে অভিযোগ।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় প্রীতিকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।
দিন কয়েক আগে খাস কলকতায় বধূহত্যার খবর সামনে এসেছিল। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এই সন্দেহে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে স্বামীর বিরুদ্ধে। খুনের পর চিত্পুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন স্বামী সঞ্জয় দাস। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, প্রাথমিক জেরায় সঞ্জয় জানিয়েছেন, স্ত্রী মুনমুনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতেন তিনি। স্ত্রী দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোনে কথা বলত, এটা তিনি মেনে নিতে পারেননি। অভিযোগ, সেই সন্দেহের বশেই স্ত্রীকে গলায় ওড়না জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন সঞ্জয়। ঘটনার সময় দম্পতির ১৮ বছরের ছেলে বাড়ি ছিলেন না।