মন্ত্রী হলে রেড রোডে বাস চলাচল বন্ধ করে সাইকেল জোন করতাম: মদন মিত্র
বিধায়ক জানিয়েছেন, এবার থেকে প্রতি সপ্তাহে লটারির মাধ্যমে ১০ জন তরুণীকে দেওয়া হবে সাইকেল।
কামারহাটি: পাঁচ তরুণীর হাতে ব্যাটারিচালিত সাইকেল তুলে দিতে দিতে মনের কথা জানালেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। কী তাঁর মনের ইচ্ছে? মদন মিত্র বলছেন, মন্ত্রী হলে রেড রোডে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়ে সাইকেল জোন করতেন। পাশাপাশি এ দিন ঘোষণা করলেন, এবার থেকে প্রতি সপ্তাহে তাঁর এই নয়া কর্মসূচি চলবে। অর্থাৎ দফায় দফায় ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে সাইকেল তুলে দেবেন তিনি। পেট্রোল-ডিজেলের অগ্নিমূল্যের প্রতিবাদে ভবানীপুরে চালিয়েছিলেন টানা রিকশ। এবার সেখানেই সওয়াল করলেন সাইকেল নিয়ে।
পৃথিবীর বহু দেশের বড় বড় শহরে সাইকেল আরোহীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। শুধুমাত্র সাইকেল চলাচলের জন্য রয়েছে পৃথক লেন। এমন ছবি যদি দেখা যেত খাস কলকাতার বুকে? তিনি মন্ত্রী হলে এমন কিছু কি করতেন? মদন মিত্রর জবাব, রেড রোডে একমাত্র সাইকেল চলাচলেরই অনুমতি দিতেন। শহরজুড়ে বানাতেন সাইকেল জোন।
পেট্রোলের দাম ইতিমধ্যেই মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদের মতো শহরে একশো পেরিয়েছে। কলকাতাতেও সেঞ্চুরি হাঁকানো এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। ডিজেলের দামও নব্বইয়ের কোটায় ঘোরাফেরা করছে। জ্বালানির দামের এই বাড়বাড়ন্তে নাভিশ্বাস উঠেছে জনসাধারণের। আর এই পরিস্থিতিতে সাইকেল যেমন পকেট বাঁচাবে তেমনই পরিবেস বাঁচাবে বলেও মনে করছেন তিনি।
মদন মিত্র আরও বলছেন, পেট্রোল ডিজেলের দাম সাধারণ মানুষের বাসে চড়া সম্ভব নয়, একারণেই সাইকেল, রিকশকে প্রোমোট করতে হবে। এদিনই ভবানীপুরে ৫ তরুণীর হাতে ব্যাটারিচালিত সাইকেল তুলে দেন মদন মিত্র। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণীদের হাতে এই সাইকেল দেওয়া হয়। বিধায়ক জানিয়েছেন, এবার থেকে প্রতি সপ্তাহে লটারির মাধ্যমে ১০ জন তরুণীকে দেওয়া হবে সাইকেল।