Islampur: ভ্যাকসিনের আকাল, ইসলামপুরে স্বাস্থ্যকর্মীদের আটকে রাখল গ্রামবাসীরা
মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের বাথরুমে পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আটক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের পন্ডিতপোতা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে।
সুদীপ চক্রবর্তী, ইসলামপুর: ভ্যাকসিন না পেয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের আটকে রাখল গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের পন্ডিতপোতা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। এলাকার গ্রামবাসীরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামীর নেতৃত্বে স্বাস্থ্যকর্মীদের আটকে রেখেছিলেন। মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের বাথরুমে পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আটক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্ধার করে। প্রধানের স্বামীর অভিযোগ, স্বাস্থ্যকর্মীরা টাকার বিনিময়ে ভ্যাকসিন দিচ্ছেন। এজেন্টের মাধ্যমে এই কাজ হচ্ছে। বিষয়টি তিনি লিখিত আকারে অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
শুক্রবার ইসলামপুর ব্লকের পন্ডিতপোতা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। সকাল থেকে প্রচুর গ্রামবাসী পঞ্চায়েতে এসে লাইন দেন। বিকেলে স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়ে দেন ভ্যাকসিন শেষ। এদিন আর ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। এতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। ভ্যাকসিনের দাবিতে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। হাজির হন পন্ডিতপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাজি বেগমের স্বামী রাসিদ আলম। তার অভিযোগ, সিরিয়াল নম্বরে পিছিয়ে থাকা ব্যক্তিরা টাকার বিনিময়ে আগে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের এজেন্টরা এই কাজ করেছেন। এই অভিযোগে দীর্ঘক্ষণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্মীদের ঘরে আটকে রাখে বলে অভিযোগ। মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা বাথরুমে যেতে চাইলেও তাদের বাথরুমে যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এছাড়াও মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের অশ্রাভ্যভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্যকর্মী শ্যামলী নাগ আতঙ্কে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। খবর পেয়ে পঞ্চায়েতে পৌছয় পুলিশ। পুলিশ আটক স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্ধার করে নিয়ে যান।
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী রশিদ আলম বলেন, ‘এখানে সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে সবাই। প্রথম দিকে যারা রয়েছেন নম্বরের হিসেবে, তারাও ভ্যাকসিন পাননি। এটা কীভাবে সম্ভব? আমি যে খবর পাচ্ছি তা হল বাইরে থেকে টাকা নিয়ে ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’ ভ্যাকসিন প্রাপক আলো হালদার বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থেকেও ভ্যাকসিন পাচ্ছি না। তাহলে আমাদের বলে দিলেই তো পারত যে আমরা লাইনে দাঁড়াতাম না। আমাদের তো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’