বিরোধী শিবিরের নাকি দলেরই পুরনো কর্মী, তৃণমূলের যোগদান কর্মসূচি ঘিরে প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
তৃণমূল দাবি করে, যোগদানকারী ২০০ জন বিজেপি ও সিপিএম থেকে দলে এসেছেন। যদিও এর উল্টো কথা শোনা গেল ওয়ার্ড সভাপতির গলায়। এনিয়ে শাসক দলকে বিঁধেছে বিজেপি ও সিপিএম।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: শাসক দলের একটি গোষ্ঠীর দাবি, দলে যোগদানকারীরা সিপিএম ও বিজেপি থেকে এসেছেন। তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতির পাল্টা দাবি, নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া তৃণমূল কর্মীরা দলে ফিরেছেন। নদিয়ার শান্তিপুরে প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব! এনিয়ে শাসক দলকে বিঁধেছে বিজেপি ও সিপিএম।
বুধবার সন্ধেয় নদিয়ার শান্তিপুরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটা করে যোগদান কর্মসূচি আয়োজন তৃণমূল। কিন্তু এক দিনের মধ্যে এই যোগদান নিয়েই দানা বাঁধল বিতর্ক। তৃণমূলের অন্দরেই উঠল প্রশ্ন। কার্যত দলের একাংশকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি।
বুধবার যোগদান পর্বের সময় তৃণমূল দাবি করে, যোগদানকারী ২০০ জন বিজেপি ও সিপিএম থেকে দলে এসেছেন। যদিও এর উল্টো কথা শোনা গেল ওয়ার্ড সভাপতির গলায়। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার্ড সভাপতি রেবতী প্রামাণিক জানান, ‘‘যারা যোগদান করেছে তারা অন্য দলের কেউ নন। এরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের পুরনো সক্রিয় সমর্থক। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দলের অনেক ক্ষতি হল।
যদিও, ওয়ার্ড সভাপতির এই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছে তৃণমূলেরই অপর অংশ। শান্তিপুরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা বিকাশচন্দ্র সাহা বলেন, ‘‘দুটি দল থেকে মোট ২০০ জন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছে। আর যিনি ওয়ার্ডের সভাপতি বলে দাবি করছেন তিনি দলের সক্রিয় কোনও পদে যুক্ত নন ৷’’
একই দাবি করে শান্তিপুর পুরসভার প্রশাসক জানান, সিপিএম ও বিজেপি ছেড়েই ওই ২০০ জন এসেছেন। এদিকে, শাসকের অন্দরের এই দ্বন্দ্বকে হাতিয়ার করে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। শান্তিপুরের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিপ্লব কর জানান, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস দলটা পুরোপুরি সার্কাসে পরিণত হয়েছে। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে দলে দলে বিজেপিতে যোগদান করছে, সেখানে নিজেদের দলের কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে যোগদানের নাটক করছে।’’
স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বেরও দাবি, তৃণমূলে যাঁরা যোগদান করেছেন, তাঁদেরই কেউই সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। সব মিলিয়ে রাজ্যের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনের মুখে যোগদান নিয়ে সরগরম শান্তিপুর।