Kanksa Rain: বর্ষার শুরুতেই অজয়ের জলের তোড়ে ভেঙে গেল পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমের সংযোগকারী অস্থায়ী রাস্তা
আপাতত এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দার যাতায়াতে শুধু ভরসা নৌকা
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান : আশঙ্কাই সত্যি হল। বর্ষার শুরুতেই অজয়ের জলের তোড়ে ভেঙে গেল পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমের সংযোগকারী অস্থায়ী রাস্তা। চূড়ান্ত সমস্যায় কাঁকসা ও ইলামবাজার ব্লকের কয়েক হাজার বাসিন্দা। শনিবার রাত থেকেই অজয়ের জল বাড়তে শুরু করে। কাঁকসার শিবপুরের কাছে ভেঙে যায় দুই জেলার সংযোগকারী অস্থায়ী রাস্তার একাংশ। ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। রবিবার রাতে রাস্তার বাকি অংশ জলের তোড়ে ভেঙে যায়। যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। আপাতত যাতায়াতে ভরসা নৌকা। গতকালই স্থায়ী সেতু তৈরিতে প্রশাসনিক ঢিলেমির অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও প্রশাসনের তরফে একবছরের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়।
এপারে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা। ওপারে বীরভূমের ইলামবাজার। মাঝে বয়ে চলেছে অজয়। আর দুই জেলাকে জুড়ে রেখেছে মোরাম বিছানো এই রাস্তা। স্থানীয়দের দাবি, প্রতিবার বর্ষায় জলের তোড়ে ভেসে যায় রাস্তা। ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় চলে পারাপার। এবার বর্ষার শুরুতেই অজয়ের জলে ঘূর্ণির টান। জল বাড়তে শুরু করায় শনিবার রাতে ভেঙে যায় রাস্তার একাংশ। কোনওক্রমে বালির বস্তা ফেলে ভাঙন আটকানোর চেষ্টা হয়। বড়সড় বিপদ এড়াতে রবিবার সকালে সেতুর ওপর ভারী যান চলাচলও বন্ধ করে দেয় পুলিশ। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না।
আর আপাতত দুই জেলার সংযোগকারী রাস্তাও অজয়ের গ্রাসে চলে যাওয়ার পর স্থানীয়দের অভিযোগ, পাশেই স্থায়ী সেতু তৈরির কাজ তিনবছর আগে শুরু হলেও এখনও শেষ হয়নি। ঢিমেতালে চলছে কাজ। সমস্যার কথা স্বীকার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। কাঁকসার বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ওই এলাকায় স্থায়ী সেতু তৈরি হচ্ছে। করোনা আবহে কাজ কিছুটা ঢিমেতালে চলছে। এছাড়া, জমিজটও ছিল। এক বছরের মধ্যে সেতু তৈরি হয়ে গেলে সমস্যা মিটে যাবে।
ভরা বর্ষা শুরুর আগেই দুই জেলার সংযোগকারী রাস্তা ফের ভেসে গেল। কয়েক হাজার মানুষের আপাতত যাতায়াতে ভরসা নৌকা।