Kolkata Night Guidelines: নজর রাখতে হবে বড় রাস্তা, হোটেল, রেস্তোরাঁর ওপর, রাতের বিধিনিষেধে আরও কড়াকড়ির নির্দেশ নবান্নর
সব পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব
সুমন ঘড়াই, কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে রাতের বিধিনিষেধে আরও কড়াকড়ির নির্দেশ নবান্নের। প্রশাসন সূত্রে খবর, সব পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী।
তিনি জানিয়েছেন, রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত আরও কড়া নজরদারি চালাতে হবে। নজর রাখতে হবে বড় রাস্তা, হোটেল, রেস্তোরাঁর ওপর।
কোভিড-বিধি উপেক্ষা করে রাতের কলকাতা ও বিভিন্ন শহরে আইনভঙ্গের ছবি ধরা পড়েছে। সাম্প্রতিকতম ঘটনাটি ঘটেঠে পরশু রাতে।
রবিবার রাতে কোভিড বিধি উপেক্ষা করে ফের রাতের কলকাতায় ধরা পড়ে হুল্লোড়ের ছবি। পার্ক স্ট্রিটে পাঁচতারা হোটেলের সামনে থেকে মত্ত অবস্থায় এক যুবককে আটক করে পুলিশ।
নিয়ম ভাঙায় একটি গাড়ি থেকে খুলে নেওয়া হয় ফ্ল্যাশার। কোভিড বিধিভঙ্গের অভিযোগে শহরের বিভিন্ন ট্রাফিক গার্ডে ৭৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, করোনা বিধি ভেঙে পার্ক হোটেলে রাতে পার্টি করার অভিযোগকে ঘিরে তোলপাড় প্রশাসনে। শহরের নানা জায়গায় চলছে পুলিশের নাকা তল্লাশি।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত উপযুক্ত কারণ ছাড়া রাস্তায় গাড়ি বা বাইক বের করা যাবে না। রাস্তায় মাস্ক না পরে বেরোলে, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শনিবারই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।
কিন্তু, সেই বিধি অমান্য করে রাতের কলকাতায় দেখা যাচ্ছে গাড়ি-বাইক। কোথাও দেখা যায় গভীর রাতেও মাস্ক ছাড়াই চলছে আড্ডা, কোথাও দোকানও খোলা। এমনকী, নাইট কার্ফুর মধ্যেও, মত্ত অবস্থায় চালককে বেরিয়ে পরতে দেখা গিয়েছে।
শুধু রাস্তা নয়। নিয়মভঙ্গের ছবি ধরা পড়ে হোটেল-রেস্তোরাঁয়। কলকাতার অভিযাত পার্ক হোটেলে করোনা বিধির তোয়াক্কা না করে তিন ও চারতলার করিডরে গভীর রাত পর্যন্ত চলছিল পার্টি।
তারস্বরে বাজানো হচ্ছিল সাউন্ড বক্স। বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। ৩৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার মদ-গাঁজা। বাজেয়াপ্ত করা হয় মার্সিডিজ-সহ দুটি গাড়ি ও অন্যান্য সামগ্রী।
শুধু কলকাতা নয়। একই ছবি ধরা পড়ে শিলিগুড়িতে। কোভিড বিধি না মেনে শিলিগুড়ির বার-কাম-রেস্তোরাঁয় চলছিল পার্টি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় ভক্তিনগর থানার পুলিশ।
হাতেনাতে গ্রেফতার করে ৪১ জনকে। ধৃতদের মধ্যে ১৫ জন মহিলা। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলা রুজু হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতে এতজনকে লক আপে রাখা সম্ভব না হওয়ায় পরে ব্যক্তিগত বন্ডে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।