Malda: প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ না হওয়ার অভিযোগ, বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের
নিয়োগ না হওয়ার অভিযোগে ববৃহস্পতিবার রাতে কয়েকশো চাকরি প্রার্থী জেলা স্কুল পরিদর্শককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
করুণাময় সিংহ, ইংরেজবাজার: প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু অভিযোগ, ফল প্রকাশ হলেও নিয়োগ হয়নি। আর সেই অভিযোগেই রাতভর বিক্ষোভ দেখালেন চাকরিপ্রার্থীরা। ঘটনা মালদার ইংরেজ বাজারের। নিয়োগ না হওয়ার অভিযোগে ববৃহস্পতিবার রাতে কয়েকশো চাকরি প্রার্থী জেলা স্কুল পরিদর্শককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ইংরেজ বাজার থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে,২০০৯-১০ সালে পরীক্ষা হয়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ফল প্রকাশিত হয় ফল। প্রায় ১৩০০ জন চাকরিপ্রার্থী এদিন বিক্ষোভ দেখান বলে জানা গিয়েছে। যদিও চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভের পরেও কোনও সুনির্দিষ্ট জবাব দিতে পারেননি স্কুল পরিদর্শক সুনীতি সাপুঁই। আর এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। ঘেরাও করা হয় স্কুল পরিদর্শককে। ঘটনার খবর পেয়ে ইংরেজ বাজার থানার পুলিশ এসে স্কুল পরিদর্শক সুনীতি সাপুঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
চাকরি প্রার্থী মন্দিরা সাহা জানান, দীর্ঘদিন ফল প্রকাশ হলেও কোনও নিয়োগ করা হয়নি। বার বার স্কুল পরিদর্শকের কাছে আসলেও তিনি কিছু বলছেন না। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা স্কুল পরিদর্শককে ঘেরা করেছি। কোনও সদুত্তর না পেল শুক্রবার থেকে আন্দোলন চলতেই থাকবে। যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে স্কুল পরিদর্শক সুনীতি সাপুঁই কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
উচ্চ প্রাথমিকে শূন্যপদের সংখ্যা ১৪ হাজার ৩৩৯। কিন্তু, এরইমধ্যে চাকরি প্রার্থীদের একাংশ মেরিট লিস্টে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু রাজ্যকে স্বস্তি দিয়ে, আপার প্রাইমারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায়, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট জানায়, ২ সপ্তাহের মধ্যে চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ জানাতে পারবে। অভিযোগপত্র হাতে পাওয়ার পর, ১০ সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে হবে। এতে থেমে থাকবে না ১৪ হাজার ৩৩৯ শিক্ষকপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া।
কিন্তু নিয়োগপ্রক্রিয়া স্থগিতের আবেদন জানান চাকরিপ্রার্থীরা। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। এসএসসি-র সদ্য প্রকাশ করা ইন্টারভিউ তালিকায় একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত, নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হোক। তার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত মাসে জানায়, প্যানেল প্রস্তত করে রাখতে হবে। কিন্তু দেওয়া যাবে না অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার বা নিয়োগপত্র।