কাটিহারে নিয়ে যাওযার পথে হরিশচন্দ্রপুরের অপহৃত ৯ জন তৃণমূল সদস্য উদ্ধার, গ্রেফতার তিন
অনাস্থা নিয়ে বিডিও অফিসে বয়ান রেকর্ডের জন্য যাওয়া ১১ জন তৃণমূল সদস্যকে গানপয়েন্টে রেখে বিডিও অফিস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ।
![কাটিহারে নিয়ে যাওযার পথে হরিশচন্দ্রপুরের অপহৃত ৯ জন তৃণমূল সদস্য উদ্ধার, গ্রেফতার তিন Malda Harishchandrapur TMC panchayat members abducted by local party leaders rescued by police কাটিহারে নিয়ে যাওযার পথে হরিশচন্দ্রপুরের অপহৃত ৯ জন তৃণমূল সদস্য উদ্ধার, গ্রেফতার তিন](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/07/28/761589d0dfc0be6bf1e10a9ceab94bbc_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
মালদা: অনাস্থার আগে বয়ান রেকর্ড ঘিরে রোমহর্ষক ঘটনার সাক্ষী থাকল হরিশ্চন্দ্রপুরের দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। অভিযান চালিয়ে রাত ২টো নাগাদ অপহৃত ৯ জন তৃণমূল সদস্যকে উদ্ধার করল পুলিশ। সূত্রের খবর, হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে বিহারের কাটিহারে নিয়ে যাওয়ার পথে ওই তৃণমূল সদস্যদের উদ্ধার করা হয়। অপহরণের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। অনাস্থা নিয়ে বিডিও অফিসে বয়ান রেকর্ডের জন্য যাওয়া ১১ জন তৃণমূল সদস্যকে গানপয়েন্টে রেখে বিডিও অফিস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির স্বামীর বিরুদ্ধেই অপহরণে মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা।
সম্প্রতি, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের দৌলতনগর পঞ্চায়েতের দলেরই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল সদস্য। গতকাল বয়ান রেকর্ড ও সই যাচাইয়ের জন্য ১১ জন তৃণমূল সদস্যকে বিডিও অফিসে ডাকা হয়। অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির স্বামী ও প্রধানের লোকজন, তৃণমূল সদস্যদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায়।
হরিশ্চন্দ্রপুর পঞ্চায়েত সমিতি (২)-র তৃণমূল নেতা ও সদস্য,সামাউল হক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন। তাঁর অভিযোগ, ঘটনায় প্রধানের লোকজনও ছিল।ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল কর্মীদের একাংশ হরিশ্চন্দ্রপুরে পথ অবরোধ করে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আশরাফুল হকের দাবি,অপহরণের অভিযোগ মিথ্যে। বিরোধী গোষ্ঠীর লোকেরা আমাদের প্রধানকে অপহরণ করেছে। এ’বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা দল নেবে। যদিও, গোষ্ঠীকোন্দলের কথা মানলেও তৃণমূলের দাবি, অপহরণের অভিযোগ ঠিক নয়।
তৃণমূল কংগ্রেস কোঅর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, এখানে অনেকের প্রধান হওয়ার ইচ্ছে হয়েছে, ফলকে নাম লেখানোর ইচ্ছে হয়েছে, তাই নিজেদের মধ্যে রেষারেষি হচ্ছে, অভিযোগ থাকলে দলকে জানাতে হবে।
গতকাল বিডিও অফিসে আসার পর থেকে, দৌলতনগরের ১১ জন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের মোবাইল ফোন সুইচড অফ ছিল। জেলাশাসকের নির্দেশে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগে এফআইআর করেছে পুলিশ।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)