Corona Vaccine: রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দিতে চায় সরকার, পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্তাদের চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে লিখেছেন, আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের সরকার রাজ্যের সমস্ত মানুষের কাছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। আগে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
কলকাতা: রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দিতে চায় সরকার। বিভিন্ন জেলার পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্তাদের লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে লিখেছেন, আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের সরকার রাজ্যের সমস্ত মানুষের কাছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। আগে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
চিঠিতে প্রত্যেককে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি শেষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই চিঠি পৌঁছেছে বিভিন্ন জেলার পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্তাদের কাছে।
ব্রিটেন, আমেরিকা, জার্মানি সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি, ভারতেরও শুরু হতে চলেছে টিকাকরণ!!
বছরের শুরুতেই কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন-এ জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন দেয় ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা ডিজিসিআই।
এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীর মনে প্রশ্ন ছিল কবে হাতে আসবে ভ্যাকসিন? ভ্যাকসিন নিয়ে অনন্ত অপেক্ষার অবশেষে অবসান হতে চলেছে...।
আগামী ১৬ জানুয়ারি, শনিবার দেশে শুরু হবে করোনার টিকাকরণ। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে নেওয়া হয় সিদ্ধান্ত।
প্রথমে ভ্যাকসিন পাবেন প্রায় ৩ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৭ কোটি মানুষকে দেওয়া হবে ভ্যাকিসন। ভ্যাকসিন পাবেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা। এরপর ৫০ বছরের নীচে যাদের কোমর্বিডিটি আছে, এমন মানুষদের টিকা দেওয়া হবে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আগামী সোম অথবা মঙ্গলবার রাজ্যে করোনো ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। রাজ্যে কারা ভ্যাকসিন আগে পাবেন সেই কাজও অনেকটা এগিয়ে আছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে আরও খবর, বাংলায় ভ্যাকসিনেশনের জন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে নথিভুক্ত করা হয়েছে ৭ লক্ষ জনের নাম। এর মধ্যে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ১০ হাজার জনের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তালিকায় রয়েছে ৭ হাজার কর্মীর নাম। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে নেওয়া হয়েছে টিকাকরণের পরিকল্পনা।
দু’ দফায় ইতিমধ্যে রাজ্যে হয়েছে করোনার টিকাকরণের মহড়া। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে প্রত্যেক জেলার মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য পাঁচটি করে ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেড বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
একই ব্যবস্থা করা হয়েছে কলকাতার তিনটি মেডিক্যাল কলেজেও । তবে এই নিয়ে চিকিৎসকদের প্রশ্ন, যখন কোভ্যাকসিন প্রয়োগের ছাড়পত্র দেয় ডিসিজিআই, তখনও তার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পূর্ণ হয়নি। এটা কী করে সম্ভব?
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রথম দফায় রাজ্যগুলিতে কোভিশিল্ড ও দ্বিতীয় দফায় কোভ্যাকসিন পাঠানো হবে। যেখানে কোভিশিল্ড যাবে, সেখানে কোভ্যাকসিন পাঠানো হবে না।