Mukul Roy Security: তৃণমূলে ফেরার পর মুকুলকে নিরাপত্তা রাজ্য পুলিশের, ছাড়লেন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা
যদিও তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে এখনও কোনও নির্দেশ এ ব্যাপারে আসেনি বলে জানা গেছে। এদিন যখন তিনি কলকাতায় রওনা দেন তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা বাহিনী।
কলকাতা: তৃণমূলে ফেরার পরেই মুকুল রায়কে নিরাপত্তা রাজ্য পুলিশের। এরপরই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়লেন তৃণমূল নেতা। গতকাল রাতেই তৃণমূল নেতার কাঁচরাপাড়ার বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয় রাজ্য পুলিশ। সকালে কলকাতায় যাওয়ার আগে মুকুল রায় জানান, তিনি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেড়ে দিয়েছেন। তাঁর সল্টলেকের বাড়িতেও এখনও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রয়েছে।
যদিও তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে এখনও কোনও নির্দেশ এ ব্যাপারে আসেনি বলে জানা গেছে। এদিন যখন তিনি কলকাতায় রওনা দেন তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা বাহিনী। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দলও তাঁর সঙ্গে গিয়েছে। তাঁর কাঁচরাপাড়ার বাড়ির সামনেও মোতায়েন রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান।যদিও মুকুল রায় নিজে জানিয়েছেন, তিনি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেড়ে দিয়েছেন।
মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন তাতে আমরা খুবই খুশি। তিনি জানালেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়ার জন্য চিঠি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার জন্য তাঁর মাকে চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বঙ্গ বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়ে ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে তৃণমূলে ফিরছেন মুকুল রায়। তৃণমূল ভবনে তাঁদের উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল। মুকুলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকে মুকুল রায়ের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব নিয়ে, জল্পনা-গুঞ্জন শুরু হলেও, মুকুল রায় যে শুক্রবারই বিজেপিকে ধাক্কা দিয়ে তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন, সম্ভবত গেরুয়া শিবিরও তার টের পায়নি। মুকুল রায় তৃণমূলে থাকাকালীন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।আজ সেই পদে আসীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণভাবে এদিন মুকুল রায় ও তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায়কে উত্তরীয় পরিয়ে দলে অভ্যর্থনা জানান অভিষেকই।
তৃণমূলে থাকাকালীন মুকুল-অভিষেকের দ্বন্দ্ব নিয়ে জল্পনা ছিল জোরদার। প্রত্যাবর্তনের পর, শুক্রবার স্বভাবতই সেই প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে মমতা বলেছেন, কোনওদিন ওদের মধ্যে কোনও সংঘাত ছিল না।মুকুলও বলেছেন,সংঘাত ছিল না, এখনও নেই, থাকবেও না
২০১৭ সালে মুকুল রায়কে বিজেপিতে স্বাগত জানিয়েছিলেন, মোদি সরকারের হেভিওয়েট মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।সেদিন তিনি বলেছিলেন, মুকুলের অভিজ্ঞতা বাংলায় বিজেপির বিস্তারে সাহায্য করবে।
কাকতলীয়ভাবে গতকালও দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন সেই রবিশঙ্কর প্রসাদ। কিন্তু, মুকুল রায়ের প্রসঙ্গে প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
রাজ্য বিজেপি অবশ্য প্রকাশ্যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, মুকুল রায় দলে এসেও লাভ হয়নি, গিয়েও ক্ষতি হবে না।