Baduria: বাদুরিয়ায় শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার নিখোঁজ গৃহবধূর দেহ
বাদুরিয়ায় শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ গৃহবধূর দেহ। স্থানীয় থানায় গৃহবধূর স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার পরিবার। অভিযুক্ত পলাতক।
সমীরণ পাল, বাদুড়িয়া: বাদুরিয়ায় শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ গৃহবধূর দেহ। স্থানীয় থানায় গৃহবধূর স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার পরিবার। পলাতক অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার সিমলা গ্রামে। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
পুরো ঘটনাটি শুক্রবার রাতের। মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ জানানো হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টা আগেই স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। মেয়ে বাড়ি ছাড়ার কিছুক্ষণ পরেই জামাই ফের এসে জানান শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন স্ত্রী। কিন্তু জামাইয়ের কথায় সন্দেহ হয় মৃতার পরিবারের। এরপরই নিখোঁজ সংবাদ পেয়ে শ্বশুরবাড়িতে খোঁজ করতে যান মেয়ের পরিবারের লোকজন। পুলিশকেও জানানো হয়। এরপরই শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল নিখোঁজ গৃহবধূর মৃতদেহ।
ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা স্বামী। গৃহবধূর মায়ের দাবি, বছর একুশের মালা খাতুনকে খুন করে ফেলে রেখে পালিয়েছে জামাই লিটন মণ্ডল। মৃতার মা এই বিষয়ে জামাইয়ের দিকে আঙুল তুলে বলেন, ‘বাপের বাড়ি থেকে জামাই মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ পর এসে জামাই নিজেই জানায় হঠাৎ করে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু এই কথায় আমাদের সন্দেহ হয়েছিল। এরপরই আমরা খুঁজতে যাই। অনেকক্ষণ খোঁজার পরই সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মেয়ের দেহ পাওয়া গেছে।’ মৃত গৃহবধূর আত্মীয় এই বিষয়ে বলেন, ‘মেয়ের দেহ থেকে গয়না খুলে নিয়ে মেরে ফেলে রেখে গেছে ওর স্বামী।’
পুলিশ সূত্রে খবর, গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। বাদুড়িয়া থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে গৃহবধূর পরিবার। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই সাংসারিক অশান্তি চলছিল এই দম্পতির মধ্যে। এমনকী বিভিন্ন ছোটোখাটো বিষয় নিয়ে মৃতাকে অত্যাচারও করা হত শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে, এমনও জানা গিয়েছে। তবে পুলিশ এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তকে তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা হবে, আশ্বাস দেওয়া হয়েছে মৃতার পরিবারকে।