গাড়িতে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে ঘুরতেন কোয়াক ডাক্তার, গ্রেফতার চালক ও মালিক
ধৃত গাড়ির মালিকের নাম আবদুল বারিক শেখ। চালকের নাম সম্রাট ঘোষ।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: পুলিশের স্টিকার লাগানো চার চাকার একটি গাড়ি আটক করল পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে নদিয়ার শান্তিপুর থানার বাগআঁচড়া এলাকা থেকে গাড়ির চালক ও মালিককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত গাড়ির মালিকের নাম আবদুল বারিক শেখ। চালকের নাম সম্রাট ঘোষ। জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই গাড়িসহ দু-জনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়ির মালিকের বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা কল্যাণপুর পূর্বপাড়ায়। অন্যদিকে চালকের বাড়ি নদিয়া কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার নয়া পাড়া এলাকায়। গাড়ির মালিক পেশায় কোয়াক ডাক্তার আবদুল বারিক শেখ নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে পুলিশ স্টিকার লাগিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলাফেরা করত। এরপরই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, কসবায় ভুয়ো IAS দেবাঞ্জনের ঘটনা সামনে আসতেই একের পর এক ভুয়ো আমলা আর ভুয়ো আধিকারিকের হদিশ মিলেছে রাজ্যে। ভুয়ো আইএএস থেকে শুরু করে ভুয়ো সিবিআই অফিসার, ভুয়ো আইনজীবী, ভুয়ো মানবাধিকার কর্মী। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে একাধিক অভিযুক্ত। এমনকি শহরে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নীলবাতির গাড়ি ব্যবহারের ঘটনাও সামনে এসেছে। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে নীলবাতি লাগানো গাড়ি পাকড়াও করে পুলিশ।
আজই রাজর্ষি ভট্টাচার্য ওরফে বাবাই নামে এক ভুয়ো আইপিএসকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়ির চালককেও। জানা গিয়েছে, নীলবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরতেন নিজেকে আইপিএস অফিসার পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, NIA-তে স্পেশাল মিশনে রয়েছেন বলে দাবি করতেন অভিযুক্ত রাজর্ষি। অভিযোগ, এক ব্যক্তিকে পুলিশ কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ২ লক্ষ টাকা চায় ভুয়ো আইপিএস। যাঁর কাছে টাকা চাওয়া হয়, তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। এর পরই তদন্তে নেমে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ।