দিঘা-দার্জিলিঙে কড়াকড়ি, পর্যটকের ভিড় ঘরের কাছে বর্তির বিলে, কড়া হল প্রশাসন
সংক্রমণের ঢেউ একটু থিতু হতেই দল বেঁধে দিঘা-পুরী-দার্জিলিঙে পাড়ি দিচ্ছিল বাঙালি, সেখানে কড়াকড়ি করতেই এখন ডেস্টিনেশন বর্তির বিল
সমীরণ পাল, বর্তির বিল : রাজ্যে করোনা বিধি-নিষেধ জারি রয়েছে। তাছাড়া সংক্রমণের ঢেউ একটু থিতু হতেই দল বেঁধে দিঘা-পুরী-দার্জিলিঙে পাড়ি দিচ্ছিল বাঙালি। কিন্তু তাতে আবার করোনাগ্রাফ চড়চড় করে বাড়ার আশঙ্কা করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তারপরই শুরু হয় কড়াকড়ি। দার্জিলিং থেকে দিঘা, পুরুলিয়া থেকে বীরভূম, পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে শুরু হয়ে যায় কড়াকড়ি। হয় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা নেগেটিভ আরটিপিসিআর রিপোর্ট অথবা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়া না থাকলে পর্যটকদের ঢোকার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় ।
ফলে এই পরিস্থিতিতে ভ্রমণপিপাসু বাঙালি দূরে কোথাও বেড়াতে যেতে পারছেন না। সোশ্যাল মিডিয়া ঘেঁটে, খুঁজে পেতে নিচ্ছেন কাছেপিঠের ডেস্টিনেশন। যেমন উত্তর ২৪ পরগনার অখ্যাত জায়গা বর্তির বিল । সোশ্যাল মিডিয়ায় ভ্রমণ-গ্রুপগুলির সৌজন্যে এখন বেশ পপুলার এই জায়গা। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই, হাওড়া, হুগলি সহ আশপাশের জেলাগুলি থেকেও আসছেন মানুষ। কলকাতা থেকে ছুটির দিনে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা বর্তির বিলে। কখনও কখনও করোনা বিধি শিকেয় তুলেই চলছিল নৌকোবিহার । বেশ ভালোই লোকসমাগম হচ্ছে উইকএন্ডে। করোনাকালে এমন পর্যটক সমাগম দেখে কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের। পরিস্থিতি সামলাতে সক্রিয় হয়েছে আমডাঙা থানার পুলিশ। প্রতিদিনই সেখানে পুলিশি প্রহরা চলছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে এই এলাকায় ঢুকতে গেলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রাস্তায় চলছে নজরদারি। এছাড়া দূরত্ববিধি নিয়েও চলছে কড়াকড়ি।
গত মাসেই দিঘা-মন্দারমণিতে করোনা বিধি উড়িয়ে পর্যটকদের হুল্লোড় আটকাতে কড়ায় হয় প্রশাসন। নিয়ম জারি করা হয়, কোনও পর্যটককে রুম ভাড়া দেওয়ার আগে তাঁর কোভিড টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ কিনা দেখে নেওয়া হবে। অথবা, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়া থাকলে, তবেই কাউকে রুম ভাড়া দেওয়া যাবে। একই পথে হাঁটে পুরুলিয়া, বীরভূমও।
১৪ জুলাই থেকে কড়া বিধি লাগু করেছে দার্জিলিং জেলা প্রশাসনও। পর্যটকদের জন্য ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের শংসাপত্র কিংবা RTPCR টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। তবে সেই রিপোর্ট ৩ দিনের বেশি পুরনো হওয়া চলবে না। এরপর ট্যুরিস্ট কমে দার্জিলিং ও সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায়। তাই এখন মানুষ খুঁজছে কাছে-পিঠে হাঁফ ছাড়ার মতো মনোরম ডেস্টিনেশন।