Kalyani Expressway: দুর্ঘটনা, অপরাধ কমাতে পদক্ষেপ, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে ৫-৭ কিমি অন্তর তৈরি হবে ট্রাফিক গার্ড
ইতিমধ্যেই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েকে জোড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা ও অপরাধ দমনে এবার ৩৫ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার অন্তর ট্রাফিক গার্ড তৈরির পরিকল্পনা নিল ব্যারাকপুর কমিশনারেট। চলছে জায়গা চিহ্নিত করার কাজ। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ব্যস্ত রাস্তায় আকছার ঘটছে দুর্ঘটনা। রাত বাড়লেই চুরি-ছিনতাইয়ের অভিযোগ রোজকার ঘটনা। পথের এই সব বিপত্তি এড়াতে এবার কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে নজরদারি বাড়ানোয় জোর দিচ্ছে ব্যারাকপুর কমিশনারেট। পুলিশ সূত্রে খবর, এবার নিমতা থেকে কাঁচড়াপাড়া পর্যন্ত কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ৩৫ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার অন্তর ট্রাফিক গার্ড তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ডিসি ট্রাফিককে নতুন এই ট্রাফিক গার্ডগুলি তৈরির জন্য জায়গা চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের কমিশনার। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, 'ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের আওতায় ৩৫ কিলোমিটার জুড়ে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার অন্তর ট্রাফিক গার্ড তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। জায়গা ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছি।' ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে কমিশনারেটের অধীনস্থ থানার সংখ্যা ১৫ থাকলেও বাড়ানো হচ্ছে আরও ৮টি থানা।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েকে জোড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। এর জন্য ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার রাস্তা সম্প্রসারিত হবে। যে কারণে ইতিমধ্যে অবৈধ দোকান, হোটেল সরিয়ে দেওয়ার নোটিস দিয়েছিল স্টেট হাইওয়ে ডেভলপমেন্ট অথরিটি। বেশিরভাগ দোকান সরে গেলেও, কিছু ব্যবসায়ী সরে যেতে চাননি বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো শুরু হয়েছে। দুই এক্সপ্রেসওয়ে জুড়ে গেলে সেক্ষেত্রে যান চলাচলে অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পাশাপাশি কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা কমানো ও অপরাধ দমনের জন্য ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পক্ষ থেকে যেভাবে ৩৫ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার অন্তর ট্রাফিক গার্ড তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তাও যথেষ্ট ইতিবাচক ভূমিকা নেবে বলেই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল।