North Dinajpur Orphanage: কোভিড আক্রান্ত অধিকাংশ আবাসিক, কালিয়াগঞ্জের সরকারি হোম বদলে গেলে সেফ হোমে
২৬ জন আবাসিকের মধ্যে ২৩ জনই সংক্রমিত হওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়ে প্রশাসনের কপালে
সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: কোভিড আক্রান্ত একের পর এক আবাসিক। যাদের অধিকাংশই শিশু ও কিশোর। যার জেরে সরকারি হোম বদলে গেলে সেফ হোমে। দ্রুত মজুত করা হল অক্সিমিটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ। স্যানিটাইজ করা হল হোম।
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের কুনোর এলাকার ঘটনা। এখানে অনাথ শিশুদের জন্য রয়েছে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সিএনসিপি বয়েজ হোম। যার পরিচালনায় রয়েছে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ।
হোম সূত্রে খবর, বর্তমানে এখানে ২৬ জন আবাসিক রয়েছে। যাঁদের বয়স ৬ বছর থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। সম্প্রতি এদের মধ্যে ২ জনের কোভিড উপসর্গ দেখা যায়।
করোনা পরীক্ষা করা হলে গত শুক্রবার তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর বাকিদেরও কোভিড পরীক্ষা করা হয়। রবিবার রিপোর্ট এলে দেখা যায় সংক্রমিত হয়েছে আরও ২১ জন।
২৬ জন আবাসিকের মধ্যে ২৩ জনই সংক্রমিত হওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়ে প্রশাসনের কপালে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রথমেই যে ৩ জন সংক্রমিত হয়নি, তাদের হোমের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আর বাকিদের নিয়ে হোমেই চালু করা সেফ হোম।
কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকার বলেন, যা যা দরকার হচ্ছে সব কিছু সাহায্য করা হচ্ছে। হোমের উপর নজর রাখা হচ্ছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, যেহেতু শিশু ও কিশোররা সংক্রমিত হয়েছে, তাই অক্সিমিটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত ওষুধ এনে রাখা হয়েছে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে ২৪ ঘণ্টা নজরে রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোভিড বিধি মেনে এখন হোমে খাবার দিচ্ছে ব্লক ও জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
এদিকে, বাঁকুড়ার কাঞ্চনপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তৈরি হয়েছে শিশুদের জন্য ১০ বেডের কোভিড ওয়ার্ড। প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলান্স ও অক্সিজেন ব্যবস্থা। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি, করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই পরিস্থিতি এলে যাতে শিশুদের জরুরি চিকিত্সা দেওয়া যায়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা।