Duare Sarkar: পূর্বস্থলিতে 'দুয়ারে সরকার' ক্যাম্পে ‘ঠেলাঠেলি’, পড়ে গিয়ে মাথা ফাটল একজনের, অন্যজন ভর্তি হাসপাতালে
পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ জানিয়েছেন, প্রচুর ভিড় হয়েছিল শিবিরে। তাঁদের মধ্যে একজন মাটিতে পড়ে যান। তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে। আর অন্যজন রোদে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান- দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের ভিড়ে ঠেলাঠেলির অভিযোগ। এরফলে আহত হয়েছেন দুই মহিলা। মাটিতে পড়ে এক মহিলার মাথা ফাটল। অন্যদিকে, আর এক মহিলা অসুস্থ হয়ে ভর্তি হলেন হাসপাতালে। এমনই ঘটনা ঘটেছে পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের কালিকাতলা ১ পঞ্চায়েতের বিশ্বরম্ভা বিদ্যাপীঠ হাই স্কুলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে।
পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ জানিয়েছেন, প্রচুর ভিড় হয়েছিল শিবিরে। তাঁদের মধ্যে একজন মাটিতে পড়ে যান। তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে। আর অন্যজন রোদে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন।প্রশাসনের তরফ দুই মহিলার অসুস্থের কথা স্বীকার করা হলেও ঠেলাঠেলির কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেই জানানো হয়েছে। তবে বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংহল বলেছেন, কেন এই ঘটনা ঘটল তা জানতে চাওয়া হয়েছে এবং এর ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের ফর্ম নিতে হাজার হাজার মানুষের ভিড়, চুড়ান্ত বিশৃঙ্খলার ছবি গতকালই সামনে এসেছিল। মালদা থেকে জলপাইগুড়ি-বিভিন্ন জেলায় একই পরিস্থিতি। করোনাকালে উধাও দূরত্ববিধি। ভিড়ের কথা মেনেও নিয়েছে প্রশাসন।গতকালও কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
সোমবার সকাল থেকেই কয়েক হাজার মানুষ ভিড় করেছিলেন মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের সুলতাননগর হাইস্কুলে। উধাও হয়ে যায় কোভিড বিধি।অনেকের মুখেই ছিল না মাস্ক।
ভিড়ের কারণে, বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও বিজয় গিরি বলেন, ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ জমায়েত হন, পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে ডাকতে হয়।
একই অবস্থা দেখা দেয় চাঁচলের কলিগ্রামেও।উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় কলিগ্রাম বালিকা বিদ্যালয়ে। একই ছবি ছিল জলপাইগুড়িতেও।বেলাকোবা মুদিপাড়া নগেন্দ্রনাথ হাইস্কুলে ভিড় করেন কয়েক হাজার মানুষ।মানা হয়নি কোনও দূরত্ব-বিধি। ফর্ম নিতে কার্যত একে অপরের ঘাড়ে উঠে পড়েন অনেকেই।বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে ফর্ম না তুলেই ফিরে যেতে হয় অনেককেই।এর মধ্যেই, গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের ফর্ম নিতে গেলে বাড়ির বকেয়া ট্যাক্স চাওয়া হচ্ছে।প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ধরনের কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হবে।