এক্সপ্লোর
Advertisement
ছাত্র খুনে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: খুনে হাত থাকা তো দূরের কথা। ঘটনাস্থলেই নাকি ছিলেন না তিনি। সব কিছু জানার পর তিনিই নাকি অনুগামীদের হাতে ৫০০ টাকা দিয়ে কৌশিক পুরকায়স্থকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তকারীদের কাছে এমনটাই দাবি করেছেন ডায়মন্ডহারবারে কৌশিক হত্যা মামলায় মুখ্য অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তাপস মল্লিক। তদন্তে সহযোগিতা তো দূরের কথা, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টার নাকি তিনি কসুর করছেন না। ফলে তাঁকে ভবানী ভবনে এনে জেরা করা হতে পারে। যদিও সিআইডি সূত্রে খবর, কলেজ ছাত্র কৌশিক পুরকায়স্থকে পিটিয়ে খুনের সময় ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাপসবাবু। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে সিআইডি জেনেছে, ৯ তারিখ সন্ধেয় গ্রামে সঙ্গীদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন তাপস। তাঁর নির্দেশেই কৌশিককে ধরে আনে অনুগামীরা। শুরু হয় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের চিত্রনাট্য! তাপস মল্লিকের সামনেই কৌশিককে বেঞ্চের পায়া ও বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও থামেনি দুর্বৃত্তরা। অভিযোগ, কৌশিকের মা মুচলেকা না লেখা পর্যন্ত রক্তাক্ত, মুমূর্ষু ছেলেটিকে দেড় ঘণ্টা আটকে রাখে তৃণমূল নেতার অনুগামীরা। যদিও তাপস নাকি জেরায় এখনও পর্যন্ত কিছুই স্বীকার করেননি। উল্টে তিনি দাবি করেছেন, ঘটনা জানার পর তিনিই নাকি অনুগামীদের ৫০০ টাকা দিয়ে কৌশিককে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছিলেন। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, তাই যদি হবে, তা হলে কেন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তাপস মল্লিক? সত্য উদ্ঘাটনে তাঁকে ভবানী ভবনে এনে জেরা করা হতে পারে বলে সিআইডি সূত্রে খবর। পাশাপাশি খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলি এখনও উদ্ধার হয়নি। সেগুলির খোঁজেও তল্লাশি চলছে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
ক্রিকেট
বিনোদনের
ক্রিকেট
জেলার
Advertisement