Dilip Ghosh Chai Pe Charcha: "বিজেপির অঙ্ক যাই হোক, প্রশান্ত কিশোরের চাকরি যাবে", তৃণমূল ভোট-কুশলীর ট্যুইটের জবাবে খোঁচা দিলীপের
গতকাল পিকে লিখেছিলেন, "দু’অঙ্কের সংখ্যা পেরোতেও বিজেপিকে কষ্ট করতে হবে, আমার এই টুইটটি সেভ করে রাখুন..."
পূর্ব বর্ধমান: "দু’ অথবা তিন অঙ্ক যাই হোক, প্রশান্ত কিশোরের চাকরি যাবে।" গতকাল তৃণমূল কংগ্রসের ভোট-কুশলীর ট্যুইটের জবাবে এমনই জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ।
মঙ্গলবার কাটোয়া পুরসভার সামনে চা-চক্রে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সেখান থেকেই পিকে-কে তুমুল আক্রমণ করেন আক্রমণ দিলীপ ঘোষ। বলেন, দু’ অথবা তিন অঙ্ক যাই হোক, প্রশান্ত কিশোরের চাকরি যাবে, তাই উনি আগে থেকেই গেয়ে রাখছেন। টাকা নিয়েছেন, তাই অর্ধচন্দ্র দিয়ে ওনাকে বিদায় দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল বাংলায় বিজেপির আসন সম্পর্কে ট্যুইটের মাধ্যমে কটাক্ষ করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। বলেছিলেন, বিজেপিকে সাহায্যকারী কিছু সংবাদমাধ্যম ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে খবর দেখাচ্ছে। কিন্তু, বাস্তবটা হল দু’অঙ্কের সংখ্যা পেরোতেও বিজেপিকে কষ্ট করতে হবে। দয়া করে আমার এই টুইটটি সেভ করে রাখুন। বিজেপি এর থেকে ভাল ফল করলে আমি এই জায়গা ছেড়ে দেব।
অর্থাৎ অমিত শাহরা দাবি করছেন বিজেপি দুশোর বেশি আসন পাবে! আর কিছুটা চরিত্রবিরোধীভাবেই প্রকাশ্যে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে প্রশান্ত কিশোর দাবি করলেন, ২৯৪ আসন বিশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ১০০টি আসন পেতেও বিজেপিকে কালঘাম পোয়াতে হবে!
পিকে-র এই ট্যুইটের প্রেক্ষিতে গতকালই নাম না করে কটাক্ষ করে পাল্টা ট্যুইট করেন রাজ্য বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি লেখেন, বাংলায় যেভাবে বিজেপির সুনামি বইছে তাতে সরকার গঠনের পর দেশে একজন ভোট কুশলী কমে যাবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় টুইটারে লিখেছেন, ‘খুব খুশি যে এমন একজন বিশেষজ্ঞ তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটের প্রচারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কোন বিশ্বে বাস করেন উনি? তৃণমূল ওঁকে কী খাবার খাওয়ায়? সবচেয়ে ভাল বিষয় হল, ২০২১ আসুক, দেখবেন না থাকবে সাপ (তৃণমূল), না বাজবে (পিকে-র) বাঁশি।
সাম্প্রতিককালে তৃণমূলের একাধিক নেতা-বিধায়ক প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর টিমের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন! এই প্রসঙ্গ তুলে তাঁকে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ! বলেন, কুৎসা প্রচারের হোতা প্রশান্ত কিশোর। নেগেটিভ প্রচার করে তিনি বিজেপির চরিত্র হনন ও বদনাম করার চেষ্টা করছেন।
সম্প্রতি, দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে বরাদ্দ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে রাজ্য। এই প্রেক্ষিতে খোঁচা দেন দিলীপ। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, সরকারের টাকায় মোচ্ছব চলছে। তৃণমূল কর্মীদের খাওয়া-দাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে সেই টাকা।
শুভেন্দু অধিকারীরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার দু’দিনের মধ্যেই বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা যোগ দেন তৃণমূলে। এই ঘটনার প্রভাব পড়বে না দলে বলে মন্তব্য করেন দিলীপ।