Covid 3rd Wave: এক সপ্তাহের মধ্যেই আছড়ে পড়তে পারে তৃতীয় ঢেউ, আশঙ্কা স্বাস্থ্য দফতরের
Covid 3rd Wave: স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এ ভাবে চললে খুব শীঘ্রই দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ৩০-৩৫ হাজারে গিয়ে ঠেকতে পারে। কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণও (Community Spread) দেখা দিতে পারে, আশঙ্কা স্বাস্থ্য দফতরের।
কলকাতা: এক সপ্তাহ আগেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু বড়দিন, বর্ষবরণ ঘিরে উন্মাদনায় পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হয়ে উঠছে। বৃহস্পতিবারই দৈনিক সংক্রমণ ২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে (২১২৮)। তার উপর ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা নিয়েও উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। এমন চলতে থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ (COVID Third Wave) আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department)।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এ ভাবে চললে খুব শীঘ্রই দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে ৩০-৩৫ হাজারে গিয়ে ঠেকতে পারে। কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণও (Community Spread) দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য দফতর। মার্চ-এপ্রিল নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিতে এগোতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র কলকাতা শহরেই নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯০ জন। সব মিলিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন রোগী। এর মধ্যে কলকাতার বাসিন্দা ছিলেন ৪ জন। এই গোটা পরিস্থিতিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চিকিৎসকরাও।
এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক দীপেন্দ্র সরকার বলেন, “কোভিডের তৃতীয় ঢেউ যে বাস্তব হতে চলেছে, তা অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম আমরা। এটা আগেও বাস্তবায়িত হতে দেখেছি। গত বছরও জেনেও না জানার ভান করে ছিলাম আমরা। তাতে দ্বিতীয় ঢেউ এসে ধ্বংস করে দিয়ে চলে গিয়েছিল। এ বারও তা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।”
তবে এ ব্যাপারে সরকার বা প্রশাসনের চেয়ে নাগরিকদের দায়িত্ব অনেক বেশি বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। দীপেন্দ্র বলেন, “নাগরিক হিসেবে আমাদের জনসমাবেশ এড়িয়ে চলা উচিত। এই সমাবেশগুলি বন্ধ হওয়া উচিত অবিলম্বে। সরকারের চেয়ে নাগরিকদের যোগদান সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। বর্ষবরণে হুল্লোড়ে মাতলে, তার খেসারত দিতে হবে আমাদেরই। বিদেশে কিন্তু ওমিক্রন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। আস্তে আস্তে নয়, সংখ্যাটা এক লাফে তিন গুণ হয়ে যাচ্ছে।”