Weather Update : আগামী ৪-৫ দিন গোটা রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা, জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর
কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুত্ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
কলকাতা : দুপুর থেকে কালো মেঘের আনাগোনা। তারপর ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। কোথাও তুমুল বৃষ্টি, কোথাও ইলশেগুঁড়ি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ৪-৫ দিন রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুত্ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। এরইমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে একজনের।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ৪-৫ দিন গোটা রাজ্যজুড়েই বৃষ্টির সম্ভাবনা। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুত্ সহ বৃষ্টি হতে পারে। হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণ-পশ্চিম মধ্যপ্রদেশের ওপর ঘূর্ণাবর্ত থেকে একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত রাজ্যের হিমালয় সংলগ্ন এলাকার ওপর। এছাড়াও দক্ষিণ -পশ্চিম বাতাসের সঙ্গে পশ্চিমী বায়ুর সংঘর্ষের জেরে উত্তর পূর্ব ভারত ও বাংলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা।
২৫শে বৈশাখের রবি-দুপুরে মুখ ঢাকে দিনমণির। মধ্যদিনের রক্তনয়ন অন্ধ করে ছেয়ে গেল মেঘ। তারপর অঝোর বৃষ্টি নামল কলকাতায়। ধারাস্নান দুই বঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি, আবার কোথাও তুমুল বৃষ্টি। উজ্জ্বল সকাল গড়িয়ে দুপুর নামতেই আকাশের মুখ ভার। শুরু হয় কালো মেঘের আনাগোনা। দুপুর ৩টে নাগাদ বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির দাপটে ময়দান চত্বরে একটু দূরের গাছপালাও ঝাপসা। তুমুল বৃষ্টি হয় বালিগঞ্জেও । এসপ্ল্যানেডেও বৃষ্টি-দিনের চেনা ছবি। বেহালার কিছু জায়গায় এদিন শিলাবৃষ্টিও হয়।
জেলাগুলিতেও মে-মাসের গরমের মাঝে তুমুল বৃষ্টিতে খানিকটা স্বস্তি। বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর দিনাজপুরে, দার্জিলিং সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দিন বৃষ্টি হয়।
গত মার্চ মাস থেকেই বঙ্গে ভোটের উত্তাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল আবহাওয়ার তাপও। গোটা এপ্রিলেই তা বজায় ছিল। এই মুহূর্তে ভোটপর্ব অতীত। গোটা রাজ্যের আকাশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কালো মেঘের ঘটঘটা। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে রাজ্যজুড়ে চলছে আংশিক লকডাউন। এর মাঝে রুদ্ররূপ ছেড়ে আবহাওয়ার বৃষ্টিস্নাত স্নিগ্ধ রূপে অন্তত কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস বঙ্গ-বাসীর।