WB Election 2021 News: ডিম-ভাতের পাল্টা মাছ-ভাত! এগরায় ‘মাছেভাতে বাঙালি’ কর্মসূচি বিজেপি-র
ঘাসফুল বনাম পদ্মফুল। দিদি বনাম মোদি ৷ ‘দুয়ারে সরকার’ বনাম ‘আর নয় অন্যায়’ ৷ ‘পরিবর্তন যাত্রা’ বনাম ‘দিদির দূত’ ৷ আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতিতে এখন ট্রেন্ডিং এগুলোই! এই তালিকায় এবার ঢুকে পড়ল, ডিম বনাম মাছের লড়াই!
ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: ডিম-ভাতের পাল্টা এবার মাছ-ভাত! শুধু মাছের ঝোল-ভাতই নয়, সঙ্গে পাতে পড়বে ডাল, আলুভাজা ও চাটনিও। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় জনসংযোগে নতুন কর্মসূচি বিজেপি-র। যার নাম ‘মাছেভাতে বাঙালি’। যে কর্মসূচিতে পাত পেড়ে খেতে আবার দিতে হবে না কোনও টাকাই। গেরুয়া শিবিরের কর্মসূচিকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল।
১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সাধারণ মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে ৫ টাকায় ডিম, ভাত-সহ ডাল তরকারি খাবারের আয়োজন করছে রাজ্য সরকার। নবান্ন থেকে সেই ‘মা কিচেন’-এর উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর সাতদিনের মাথায় এবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ প্রকল্প চালু করল স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
ঘাসফুল বনাম পদ্মফুল। দিদি বনাম মোদি ৷ ‘দুয়ারে সরকার’ বনাম ‘আর নয় অন্যায়’ ৷ ‘পরিবর্তন যাত্রা’ বনাম ‘দিদির দূত’ ৷ আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতিতে এখন ট্রেন্ডিং এগুলোই! এই তালিকায় এবার ঢুকে পড়ল, ডিম বনাম মাছের লড়াই!
রবিবার এগরার পানিরুলে বিজেপির একটি বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকের পরেই মাছে-ভাতে প্রকল্প চালু করে গেরুয়া শিবির। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, আলু ভাজা, মাছের ঝোল এবং চাটনি। পাত পেড়ে খান প্রায় ৭০০ জন। আর এজন্য কাউকে কোনও টাকা দিতে হয়নি।
এগরার বিজেপি নেতা কণিষ্ক পণ্ডা জানান, ‘‘যেরকম চায়ে পে চর্চা অনুষ্ঠান হয় সেরকম এলাকায় ঘুরে ঘুরে মাছেভাতে বাঙালি অনুষ্ঠান করব। এতে এক টাকাও লাগবে না। বাঙালি সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে ও মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে এই কর্মসূচি ৷’’
পেট্রোল-ডিজেলের দাম ভারতে এখন সবচেয়ে বেশি! রেকর্ড! এই প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা মোদি সরকারকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। পূর্ব মেদিনীপুরের যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ‘‘বাঙালিদের খাওয়ারের জন্য যা দরকার সেই ডিজেল, কেরোসিন, গ্যাসের দাম বাড়ছে। আগে কেন্দ্র দাম কমাক। তাহলেই তো মানুষ খেতে পারবে। আমাদের পাঁচ টাকার ডিম ভাত অনেক কার্যকরী।’’
ভোটের মুখে বিনা পয়সায় কিংবা নামমাত্র মূল্যে খাবার, ডিম-মাছ, না কি সবার জন্য কাজ, কোনটা বেশি জরুরি সে জবাব মিলবে ভোটের ফলে।