WB Election 2021: পাহাড়ে ফের বিক্ষোভের মুখে দিলীপ ঘোষ! কালো পতাকা, গো ব্যাক স্লোগানে বিক্ষোভ গুরুঙ্গপন্থী মোর্চা সমর্থকদের
সময়ের ব্যবধান তিন বছরের কিছু বেশি সময়। পাহাড়ে গিয়ে ফের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দিলীপ ঘোষ! বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে দেখে কালো পতাকা নিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দিলেন গুরুংপন্থী মোর্চা সমর্থকরা।
সনৎ ঝা, দার্জিলিং: পাহাড়ে ফের বিক্ষোভের মুখে দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে কালো পতাকা ও গো ব্যাক স্লোগান গুরুংপন্থী মোর্চা সমর্থকদের। পাল্টা জয় শ্রীরাম স্লোগান দিল বিজেপি।
২০১৭-র অক্টোবরের পর এবার ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি। সময়ের ব্যবধান তিন বছরের কিছু বেশি সময়। পাহাড়ে গিয়ে ফের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দিলীপ ঘোষ! বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে দেখে কালো পতাকা নিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দিলেন গুরুংপন্থী মোর্চা সমর্থকরা।
পাল্টা জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন বিজেপি কর্মীরা। নীলবাড়ি দখলকে পাখির চোখ করে রাজ্যের পাঁচটি জোন থেকে পরিবর্তন যাত্রা শুরু করেছে বিজেপি। তাতে অংশ নিতেই মঙ্গলবার সকালে পাহাড়ে যান দিলীপ ঘোষ। কিন্তু, তার আগেই দু’জায়গায়---ঘুম ও দার্জিলিং স্টেশনের কাছে গুরুংপন্থী মোর্চা সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। উঠল গো ব্যাক স্লোগান।
গুরুঙ্গপন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মুখপাত্র বিনীতা রোকা বলেন, ‘‘বিজেপি দল নয় ব্যাপারী, প্রতিবার এসে প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু মেটায় না, পাহাড়ের লোক বিক্ষোভ দেখিয়েছে ৷’’
যদিও, এই বিক্ষোভকে গুরুত্ব দিতে চাননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ তিনি বলেন, ‘‘কাজ নেই তাই বিক্ষোভ নিজেদের অস্তিত্ব রাখতে, পাহাড়ের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে, পাহাড়ের সমস্যার সমাধান করবে বিজেপি ৷’’
তবে এদিনের বিক্ষোভকে সমর্থন করেছে তৃণমূল। দার্জিলিংয়ের তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, ‘‘বিজেপির যে ভাষা সন্ত্রাস তার বিরুদ্ধে মানুষ ক্ষুব্ধ, তাই যেখানেই ওরা যাচ্ছে সেখানেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ৷’’
দিলীপের উদ্দেশে এদিনের বিক্ষোভ ২০১৭-র স্মৃতি উস্কে দিল। সেবার পাহাড়ে গিয়ে হড়কা বাহাদুর ছেত্রীর দল মোর্চার জন আন্দোলন পার্টির প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ৷ আর এবার ঠিক বিধানসভা ভোটের মুখে ফের ক্ষোভের মুখে পড়লেন দিলীপ। বর্তমানে পাহাড়ের রাজনীতিতেও নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে। তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়ে সাড়ে তিন বছর পাহাড়ে ফিরে এসেছেন বিমল গুরুং। ফলে একসময় যে বিজেপিকে পাহাড়ে জমি পেতে সাহায্য করেছিলেন গুরুং, তিনিই আজ গেরুয়া শিবিরের প্রতিপক্ষ। এই প্রেক্ষাপটে এদিনের বিক্ষোভ যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।