'মুকুল রায় যেখানে যাবেন, ওনার সঙ্গে আমিও থাকব' এবার বেসুরো বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ গুহ
শুক্রবার পদ্মবন ছেড়ে ঘাসফুলে ফিরেছেন মুকুল রায়। এবার বিজেপিতে থাকা তাঁর অনুগামীরা কী করবেন? এই প্রশ্নটা উঠতে শুরু করতেই, বেসুরো মুকুল অনুগামীরা
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: বিশ্বাজিৎ দাস, সুনীল সিংহর পর এবার বেসুরো মুকুল অনুগামী হিসেবে পরিচিত জলপাইগুড়ির বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ গুহ। তাঁকে দলে ফেরানো হবে কিনা, সিদ্ধান্ত নেবে শীর্ষ নেতৃত্ব। জানালেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি।
শুক্রবার পদ্মবন ছেড়ে ঘাসফুলে ফিরেছেন মুকুল রায়। এবার বিজেপিতে থাকা তাঁর অনুগামীরা কী করবেন? এই প্রশ্নটা উঠতে শুরু করতেই, বেসুরো মুকুল অনুগামী হিসেবে পরিচিত বিজেপির ট্রেডার্স সেলের রাজ্য কো-কনভেনার বিশ্বজিৎ গুহ।
রাজ্য বিজেপির ট্রেডার্স সেলের কো-কনভেনার বিশ্বজিৎ গুহ জানিয়েছেন, 'যেহেতু আমি মুকুল ঘনিষ্ঠ, মুকুল দা আজ তৃণমূলে গেলেন এটা একটা ভাল দিক। একটা মান-অভিমান ছিল, মুকুল দার জন্যই আমার পরিচয়। উনি যেখানে যাবেন, ওনার সঙ্গে আমিও আছি।'
২০১৭ সালে মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ গুহ। বিজেপি তাঁকে পদও দিয়েছে। তবে এর জন্য সব কৃতিত্ব মুকুল রায়কেই দিচ্ছেন জলপাইগুড়ির বেসুরো বিজেপি নেতা।
বিশ্বজিৎ গুহ জানাচ্ছেন, 'আমি তৃণমূলের যুব নেতা ছিলাম সেটা মুকুল রায়ের জন্যই। বিজেপিতে গিয়ে আমি পদও পাই। পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে দাদার সঙ্গেই কাজ করেছিলাম। কিন্তু, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে আমরা অনেকটাই অন্ধকারে ছিলাম।
জলপাইগুড়ির বিজেপি সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, 'আমরা আগেই বলেছিলাম যাঁরা এসেছে তাদেরকে আগে দেখা হোক, তার জন্যই এই অবস্থা। কর্মীরা আমাদের সঙ্গেই আছে। এরা বিজেপিতে এসে যখন সুবিধা নিতে পারেনি আখের গোটাতে পারেনি তাই ফিরে যাচ্ছে। ঝার-জঙ্গল যত যায় ততই বিজেপির ভাল।
মুকুল রায়ের পথে হেঁটে তিনিও তৃণমূলে ফিরতে চান বলে কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন বিশ্বজিৎ গুহ। কিন্তু মুকুলের অনুগামীদের জন্যও কি তৃণমূলের দরজা খোলা?
জলপাইগুড়ি তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী জানিয়েছেন, 'মুকুল রায় এসেছে ঠিক আছে, কারা মুকুলের ছায়াসঙ্গী ছিলেন সেটা তাঁদের ব্যাপার। তবে এদের নিতে গেলে ওপর মহলের অনুমতি নিয়েই নিতে হবে, বিনা অনুমতিতে হবে না। সিপিএম, বা কংগ্রেসের ক্ষেত্রে অসুবিধে নেই।
বিধানসভা ভোট মিটতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার হিড়িক পড়ে গেছে। মুকুল রায়ের ঘরওয়াপসির পর এবার তা আরও বাড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহলের একাংশ।