Kolkata: করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হতেই রাজ্যে বাড়ছে স্ক্রাব টাইফাসের দাপট
Kolkata: একে করোনায় রক্ষে নেই, তার ওপর স্ক্রাব টাইফাস দোসর। করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হতেই রাজ্যে ক্রমশ বেড়ে চলেছে এই স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: একে করোনায় রক্ষে নেই, তার ওপর স্ক্রাব টাইফাস দোসর। রাজ্যে ক্রমশ বেড়েই চলেছে এই স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এমন অবস্থায় চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন, জ্বর এলেই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া একান্ত প্রয়োজনীয়।
ধরুন, আপনার জ্বর এসেছে। আর আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই, ওষুধ খেয়ে ভাবছেন, সব ঠিক হয়ে যাবে। বিপদ ডেকে আনতে না চাইলে সঙ্গে সঙ্গে চলে যান চিকিৎসকের কাছে। কারণ, করোনার প্রকোপের মধ্যেই এবার ফের চোখ রাঙাচ্ছে স্ক্রাব টাইফাস। সূত্রের খবর, গত দেড় মাসে রাজ্যে বেড়েছে স্ক্রাব টাইফাস আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতার প্রায় সমস্ত সরকারি হাসপাতালেই, আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি রয়েছেন বেশ কয়েকজন। আর জি কর, এসএসকেএম, ইনসটিটিইট অফ চাইল্ড হেল্থ, সব জায়গাতেই অন্তত ২ থেকে ৩ জন করে ভর্তি।
চিকিত্সক প্রভাসপ্রসূন গিরি জানাচ্ছেন, '৪০ জন মত আক্রান্ত দেড় মাসে ভর্তি হন। এদের মধ্যে ৪ জন সঙ্কটজনক। সবাই অবশ্য কলকাতার নয়।'
বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রম্বিকিউলিড মাইটস নামে এক ধরনের মাকড়ের কামড়ে শরীরে ঢোকে স্ক্রাব টাইফাস ব্যাকটেরিয়া। এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ একেবারে ডেঙ্গির মতো। শুরুতেই জ্বর আসে। গায়ে, হাতে, পায়ে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয়। চোখের পিছনে ব্যথা হয়। সঙ্গে বমিও হয়। এছাড়া গায়ে র্যাশও বের হয়। একাধিক বিশেষজ্ঞের মতে, রাজ্যে আপাতত নিয়ন্ত্রণে করোনা সংক্রমণ। ফলে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে রাজ্য সরকার ধীরে ধীরে শিথিল করেছে একাধিক বিধিনিষেধ। কিন্তু এই শিথিলতা যত বাড়ছে, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্তের সংখ্যা।
চিকিৎসক অতনু পালের মতে, 'ম্যালেরিয়ার মতো টানা জ্বর হতে থাকে। যদিও কারণ চেনা যায় না। এক্ষেত্রে ১০৬ পর্যন্ত জ্বর আসতে পারে। তবে চিহ্নিত হলে ওধুধ আছে।'
চিকিৎসকদের মতে, টদ্রুত রোগ ধরা পড়লে, বিশেষ অ্যান্টিবায়োটিক দিলে তাড়াতাড়ি সেরে ওঠা সম্ভব। না হলে মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।'