Diwali Bonus: দীপাবলির বোনাস না পেয়ে টোল প্লাজার গেট খুলে দিলেন কর্মীরা, টাকা না দিয়ে বেরিয়ে গেল হাজার হাজার গাড়ি
Agra-Lucknow Expressway Toll: রবিবার হরিয়ানার ফতেহাবাদে আগরা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়ের টোল বুথের ফটক খোলা থাকতে দেখা যায়।

নয়াদিল্লি: উৎসবের মরশুমেও হাত খালি। দীপাবলির বোনাস নামমাত্র পেয়েছেন কেউ, কেউ আবার পাননি। ক্ষোভে টোল বুথের ফটক খুলে দিলেন কর্মীরা। বিনা টোল দিয়েই বেরিয়ে গেল পর হাজার হাজার গাড়ি। আগরা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়েতে এমনই ঘটনা ঘটল। দীপাবলির বোনাস হিসেবে নামমাত্র টাকা মেলায় সেখানে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছিলেন কর্মীরা। কেউ কেউ টাকা পাননি বলেও খবর। ( Agra-Lucknow Expressway Toll)
রবিবার হরিয়ানার ফতেহাবাদে আগরা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়ের টোল বুথের ফটক খোলা থাকতে দেখা যায়। টোল না দিয়েই বেরিয়ে যায় হাজার হাজার গাড়ি। এখনও পর্যন্ত যা খবর, কর না দিয়ে হাজার হাজার গাড়ি বেরিয়ে যাওয়ায় বেশ কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। এমন বেনজির ঘটনা আগে ঘটেনি বলেই খবর। (Diwali Bonus)
আগরা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়ে উত্তরপ্রদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার ধমনী। আগরা এবং লখনউকে সরাসরি সংযুক্ত করেছে যেমন, তেমনই যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত করেছে দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চলকে। টোল বাবদ সেখান থেকে মোটা টাকা আয় করে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
Upset Over No Diwali Bonus, Agra-Lucknow Expressway Let Vehicles Pass For Free#Lucknow #UttarPradesh #ABPLivehttps://t.co/WBKGyvsYD4
— ABP LIVE (@abplive) October 21, 2025
তবে টোল প্লাজায় কর্মরত এক ব্যক্তি কারণ ব্যাখ্য়া করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “এক বছর ধরে সংস্থায় কাজ করছি। কোনও বোনাস পাইনি হাতে। দিনরাত এক করে খাটি আমরা। অথচ সময়ে বেতন মেলে না। আমাদের জায়গায় অন্য লোক আনবে বলা হচ্ছে। কিন্তু বোনাস দেবে না।” সূত্রের খবর, কর্মীদের একাংশ বোনাস পাননি। যাঁরা পেয়েছেন, টাকার অঙ্ক নামমাত্র। কারা পেয়েছেন, কারা পাননি, তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি যদিও।
ওই টোল প্লাজা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে Shrisai and Datar Company. কর্মীদের একাংশের দাবি, দীপাবলিতে বোনাস ঢুকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সরাসরি ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়বে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় তাঁদের। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা ঘটেনি। ১১০০ টাকা করে ধরানো হয় শেষে।
বোনাসের দাবিতে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কর্মীরা। কর্মবিরতিতেও বসেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত রবিবার টোল বুথের ফটকই খুলে দেন। প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলে বলে জানা গিয়েছে, ফটক খোলা ছিল ঘণ্টা দুয়েক মতো। শেষ পর্যন্ত সংস্থা তরফে আশ্বস্ত করা হয় কর্মীদের। ১০ শতাংশ বেতন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয় বলে খবর। তার পর বিক্ষোভ ওঠে। টোলের কর্মীদের দাবি, গত বছরও কম বোনাস ঢুকেছিল। ৫৫০০ টাকা মিলেছিল। কিন্তু এ বছর মাত্র ১১০০ টাকা করে দেওয়া হয়। রবিবারের ওই ঘটনায় ২৫-৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
যদিও ওই টোল সংস্থার দাবি, এবছর মার্চ মাসেই দায়িত্ব গ্রহণ করে তারা। সেই অনুযায়ী তাদের পদক্ষেপ যুক্তিযুক্ত। কিন্তু এই দাবি মানছেন না কর্মীরা।























