২০১৭ সালে নিজের দেশে ৭৫০ মার্কিন ডলার আয়কর জমা করেন ট্রাম্প, তুলনায় ভারতে দিয়েছেন ১.৪৫ লক্ষ ডলার!
গত ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছর আমেরিকায় কর ফাঁকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ওয়াশিংটন: সম্প্রতি, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর দেওয়ার খতিয়ান প্রকাশিত হয়েছে সেদেশের সংবাদপত্রে। প্রতিবেদনের দাবি, আমেরিকায় ট্রাম্প যা কর দিয়েছেন ভারতে তাঁর ব্যবসা ঢের বেশি কর দিয়েছে।
সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, ২০১৭ সালে নিজের দেশে সর্বসাকুল্যে মাত্র ৭৫০ মার্কিন ডলার আয়কর জমা দেন ট্রাম্প। তুলনায়, ওই বছরে ভারতে ব্যবসা করে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার আয়কর দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
শুধু ভারতেই নয়, পানামায় তাঁর ব্যবসা এর চেয়ে বেশি কর দিয়েছে। ফিলিপাইন্সেও তাঁর ব্যবসার দেয় করের পরিমাণ অনেক বেশি।দেশে ভোটের মুখে এমন তথ্য প্রকাশ্যে আসায় জোর গলায় ট্রাম্প বলেছেন সবটাই ভুয়ো খবর।
রিপোর্টে প্রকাশ, ২০১৬ সালে ৭৫০ মার্কিন ডলার কর দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সে বছর মার্কিন রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। পরের বছর হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আসনে বসার পরেও অঙ্কটা বদলায়নি। করের দেওয়ার অঙ্কটা ছিল একই। ৭৫০ মার্কিন ডলার।
গত ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছর আমেরিকায় কোনও কর দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল তাঁর যা রোজগার হচ্ছিল তার চেয়ে খরচের পরিমাণ ছিল বেশি। তাই কর দিতে পারেননি ট্রাম্প।
বিমান সংক্রান্ত খরচ, হেয়ার স্টাইলিং, বিমান সংক্রান্ত খরচের উপর আবার কর মকুব করিয়েছেন ট্রাম্প। মেয়ে ইভাঙ্কার হেয়ার স্টাইলের খরচ পুরোটাই করমুক্ত হিসেবে দেখিয়েছেন। অন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টরা কর দেওয়ার খতিয়ান সামনে আনলেও ট্রাম্প বরাবর তা অডিটের অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে গিয়েছেন।
ভারতে তাঁর ব্যবসা কোন খাতে কত কর দিয়েছে তার কোনও বিস্তারিত বিবরণ ওই রিপোর্টে নেই। তবে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত আগের রিপোর্ট অনুযায়ী ট্রাম্পের সংস্থার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ভারতে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হোয়াইট হাউসে আসার প্রথম দু বছরে ভারত থেকে ২৩ লক্ষ ডলার রোজগার হয় ট্রাম্পের।
ট্রাম্পকে নিজেকে সফল ব্যবসায়ী দাবি করলেও, তার ব্যবসা যে খুব ভাল চলে তা নয়। আমেরিকা ও ইউরোপে তার গলফ কোর্স লোকসানে চলছে। হোয়াইট হাউসের অদূরে তাঁর বিলাসবহুল হোটেলেরও নাকি তেমন দশা।
ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের এক আইনজীবী অ্যালেন গারটেন জানিয়েছেন সবগুলি না হলেও, প্রকাশিত রিপোর্টের অধিকাংশই মিথ্যা। সাংবাদিকদেরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন সবই ভুয়ো খবর।