'অদ্ভুত ঘটনা! এক ঘণ্টার জন্য অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করেছিল ট্য়ুইটার', অভিযোগ তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর
যদিও এক ঘণ্টার মধ্য়েই তাঁর অ্য়াকাউন্ট ফের খুলে যায়।
নয়াদিল্লি: নয়া ডিজিটাল বিধি নিয়ে কেন্দ্র এবং ট্যুইটারের মধ্যে সংঘাত অব্যাহত। এর মধ্যেই ট্যুইটারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি অভিযোগ করেছেন, শুক্রবার প্রায় এক ঘণ্টার জন্য তাঁর অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দিয়েছিল ট্য়ুইটার। এই সময়ে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দেয়নি ট্য়ুইটার।' যদিও এক ঘণ্টার মধ্য়েই তাঁর অ্য়াকাউন্ট ফের খুলে যায়।
টেলিভিশন বিতর্কের ভিডিও পোস্ট করায় কপিরাইট আইন লঙ্ঘন হয়েছে, এই অভিযোগে ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দেয়নি বলে দাবি করেছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। এ দিন রবিশঙ্কর তাঁর লক হয়ে যাওয়া প্রোফাইলের স্ক্রিনশট শেয়ার করে ট্য়ুইট করেন। লেখেন, 'বন্ধুরা! আজ আমার সঙ্গে একটি অত্যন্ত অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট আইন লঙ্ঘন হয়েছে এই অভিযোগের ভিত্তিতে ট্য়ুইটার প্রায় এক ঘন্টা আমাকে আমার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দেয়নি। যদিও এর পরে তারা আমাকে অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করার অনুমতি দেয়।'
Friends! Something highly peculiar happened today. Twitter denied access to my account for almost an hour on the alleged ground that there was a violation of the Digital Millennium Copyright Act of the USA and subsequently they allowed me to access the account. pic.twitter.com/WspPmor9Su
— Ravi Shankar Prasad (@rsprasad) June 25, 2021">
সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে ইতিমধ্যেই ভারতে আইনি রক্ষাকবচ হারিয়েছে ট্যুইটার। তথ্যপ্রযুক্তি আইনে পাওয়া ছাড় হারিয় ট্যুইটার। ২৫ মে থেকেই রক্ষাকবচ খারিজ বলে জানানো হয়েছে। অশান্তিতে ইন্ধনের অভিযোগে গাজিয়াবাদে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আমেরিকার এই মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইটিই প্রথম, যাদের উপর থেকে এই রক্ষাকবচ সরিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
উল্লেখ্য কংগ্রেসের 'টুলকিট' সংক্রান্ত অভিযোগের মামলায় ট্যুইটার ইন্ডিয়ার এমডি মণীশ মাহেশ্বরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের পদস্থ আধিকারিকদের একটি দল গত ৩১ মে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে যায়। জানা গিয়েছিল, বিজেপি নেতাদের ট্যুইটকে ‘ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া’ ট্যাগ দেওয়ার মামলাতেই দিল্লি পুলিশের এই তৎপরতা। এরপর গত ৩১ মে ট্যুইটার ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মণীশ মাহেশ্বরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল।
এই কংগ্রেসের ‘টুলকিট’ সংক্রান্ত অভিযোগের মামলায় এর এক সপ্তাহ আগেই দিল্লি পুলিশের একটি দল ট্যুইটার ইন্ডিয়ার দিল্লি অফিসে গিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছিল, নোটিশ দিতে তারা ট্যুইটার ইন্ডিয়ার অফিসে গিয়েছিল। দিল্লি পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল যে, নিয়মমাফিক প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবে তারা নোটিস দিতে ট্যুইটার ইন্ডিয়ার অফিসে গিয়েছিল। ট্যুইটার ইন্ডিয়াকে নোটিস জারির ক্ষেত্রে তাদের কোনও ব্যক্তি উপযুক্ত, তা জানতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কারণ, এক্ষেত্রে ট্যুইটার ইন্ডিয়ার এমডি-র উত্তর ছিল খুবই অস্পষ্ট।
কয়েক মাস আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায়। তবে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ট্যুইটে এবং কু অ্যাপে একটি বার্তা দিয়ে জানিয়েছিলেন, ' ভারতের আইনকে সম্মান করতে হবে ট্য়ুইটারকে। সেই সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনও আপস কেন্দ্রীয় সরকার করবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি।'