White House Dinner : হোয়াইট হাউসে তাবড় প্রযুক্তি-প্রধানদের ডিনারে আমন্ত্রণ ট্রাম্পের, গেলেনই না বিশ্বের এক নম্বর ধনকুবের মাস্ক
Tech Giants: ডিনারে শামিল হলেন এক ডজনের বেশি CEO।

নয়াদিল্লি : লক্ষ্য ছিল, আমেরিকায় বিনিয়োগ ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI নিয়ে আলোচনা। সেই লক্ষ্যে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তাবড় প্রধানদের হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । তাঁকে সঙ্গ দেন আমেরিকার ফার্স্ট লেডি মেলানিয়ে ট্রাম্পও। সংশ্লিষ্ট ডিনারে শামিল হলেন এক ডজনের বেশি CEO। সেই তালিকায় ছিলেন - বিল গেটস, টিম কুক, মার্ক জুকেরবার্গ ও সুন্দর পিচাইদের মতো বড় মুখ। ফার্স্ট লেডি ও জুকেরবার্গের মধ্যে মাঝে বসা ট্রাম্প প্রত্যেক এক্সিকিউটিভের কাছে জানতে চান, আমেরিকায় তাঁদের কোম্পানি কত বিনিয়োগ করছে। কিন্তু, উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ট্রাম্পের ডাকা ডিনারে যোগ দিলেন না বিশ্বের এক নম্বর ধনকুবের ইলন মাস্ক। একসময়ের ঘনিষ্ঠ টেসলা ও স্পেস এক্স প্রধান মাস্ক সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের থেকে দূরত্ব বাড়িয়েছেন। মহাকাশ নীতি ও সরকারি চুক্তি নিয়ে মতান্তরের জেরে দূরত্ব বেড়েছে উভয়ের।
তবে পাঁচ ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক্সিকিউটিভ — যার মধ্যে সত্য নাদেলা (মাইক্রোসফট), সুন্দর পিচাই (গুগল), সঞ্জয় মেহরোত্রা (মাইক্রন), বিবেক রানাদিভে (TIBCO) এবং শ্যাম শঙ্কর (পালান্তির) — ডিনার টেবিলে ছিলেন। ট্রাম্প অভিবাসন দমনের পদক্ষেপ নেওয়ার পরেও, তাঁদের উপস্থিতি সিলিকন ভ্যালি এবং ওয়াশিংটনে ভারতীয় আমেরিকানদের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে তুলে ধরে।
গত কয়েক মাসে একাধিক বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দেয় ট্রাম্প এবং ইলনের মধ্যে। সরকারি দায়িত্ব থেকেও সরে আসেন ইলন। প্রকাশ্যে ট্রাম্প সরকারের একাধিক সিদ্ধান্তের সমালোচনা শুরু করেন। তবে তাঁদের বন্ধুত্বের কবরে শেষ পেরেক হয়ে নেমে আসে ট্রাম্পের 'Big Beautiful Act', যার আওতায় সরকারি খরচ কমানো, করছাড় তুলে নেওয়ার মতো একাধিক সিদ্ধান্তের কথা জানায় ট্রাম্প সরকার।। সীমান্তে দেওয়াল তোলা থেকে অভিবাসীদের জন্য় বন্দিশিবির গড়ার কথাও বলা হয়। পাশাপাশি, স্বাস্থ্যবিমা, খাদ্য নিরাপত্তা, সবুজ শক্তি ক্ষেত্রে এতদিন যে টাকা খরচ করত আমেরিকার সরকার, সেই খরচও কমিয়ে আনা হবে বলে জানা যায়। গোড়া থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিলেন ইলন। দেশের যুবসমাজের ঘাড়ে দেনা চেপে বসবে, দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে বলে দাবি করেন তিনি। এর পরই সটান নতুন রাজনৈতিক দলের কথা পাড়েন। তবে নতুন দল গড়লেও, আমেরিকার রাজনীতিতে America Party কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। কারণ, আমেরিকার রাজনীতি বরাবরই দ্বিদলীয় ব্যবস্থার আওতায় থেকেছে, রিপাবলিকান শিবির বনাম ডেমোক্র্যাট শিবির।






















