Gujrat Man Jailed : হাইকোর্টের বিচারপতিকে লক্ষ্য করে চটি, দেড় বছরের হাজতবাস দোষীর !
হাইকোর্টের বিচারপতিকে লক্ষ্য করে চটি ছুঁড়েছিল। এই দায়ে এক ব্যক্তিকে ১৮ মাস অর্থাৎ দেড় বছর হাজতবাসের নির্দেশ শোনাল গুজরাতের আদালত।
আমেদাবাদ : দীর্ঘদিন ধরে ঝুলছে তার মামলা। এই হতাশায় হাইকোর্টের বিচারপতিকে লক্ষ্য করে চটি ছুঁড়েছিল। ২০১২ সালের এই ঘটনায় দোষী গুজরাতের রাজকোট জেলার চা বিক্রেতাকে সাজা শোনাল আমেদাবাদের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। তাকে ১৮ মাস অর্থাৎ দেড় বছর হাজতবাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩ ধারায় অভিযুক্ত ছিল ওই চা বিক্রেতা ভবানীদাস বাভাজি। তাকে আজ সাজা শোনান মির্জাপুর গ্রামীণ আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভিএ ধাধল। দোষী ব্যক্তি পুলিশের কাছে দাবি করেছে, মামলা দীর্ঘদিন ঝুলে থাকায় হতাশার বশে সে বিচারপতিকে লক্ষ্য করে চটি ছুঁড়েছে। তার এই কাজকে "অত্যন্ত নিন্দনীয়" বলে উল্লেখ করেছেন বিচারক। তাই তাকে বেনিফিট অফ প্রোবেশন(ভাল ব্যবহারের জন্য দোষীকে মুক্তির বিধান) দিতে চাননি বিচারক ধাধল।
ওই চা বিক্রেতা রাজকোটের ভয়াবদার শহরের বাসিন্দা। বিচারক তাকে ১৮ মাস জেলের নির্দেশ দিলেও, তার আর্থিক অবস্থার কথা ভেবে কোনও জরিমানা করেননি।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ এপ্রিল শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টের বিচারপতি কে এস জাভেরিকে লক্ষ্য করে চটি ছোড়ে ওই ব্যক্তি। যদিও বিচারপতির গায়ে লাগেনি কোনও চটিই। যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় এমন আচরণের কারণ কি ? সে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তার মামলা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। হতাশা থেকে সে একাজ করেছে। এর পরই ভবানীদাস বাভাজিকে সোলা থানায় পাঠানো হয়। যেখানে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে, ভবানীদাস ভয়াবদারে রাস্তার পাশে একটি চায়ের দোকান চালাত। ভয়াবদার পুর নিগম তাকে ওই স্টল সরিয়ে নিতে বলে। কিন্তু, গোন্ডাল সেসন আদালত পুর নিগমের এই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। এর পরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পুর কর্তৃপক্ষ। ভবানীদাস নিজের বিবৃতিতে জানায়, আবেদনের ভিত্তিতে পুর কর্তৃপক্ষ তার স্টল সরিয়ে দিয়েছে। এর ফলে সে কর্মহারা। আয়ের কোনও পথ খোলা না থাকায়, সে মানসিক স্থিতি হারিয়ে ফেলেছিল। এদিকে আমেদাবাদের আদালতে শুনানির জন্য যাতায়াত খরচে হয় তাকে ভিক্ষা করতে হচ্ছিল অথবা অন্যের কাছে ধার নিতে হচ্ছিল। তাই তার মানসিক অবস্থা ঠিক ছিল না বলে দাবি করে সে।