এবার জগদ্দলে দূষিত পানীয় জল খেয়ে মহিলার মৃত্যুর অভিযোগ
মৃতের নাম প্রমীলা চৌধুরী (৪২) ৷ পরিবারের তরফে দাবি, গত বৃহস্পতিবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ব্যারাকপুর বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয় প্রমীলার।
সমীরণ পাল, জগদ্দল: ভোটের আগে ফের একবার পানীয় জল দূষণ আতঙ্ক...কলকাতার পর, এবার আতঙ্ক ফিরল উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে। কাউগাছির কমলপুর পশ্চিম মাঠপাড়া এলাকায় দূষিত পানীয় জল খেয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।
মৃতের নাম প্রমীলা চৌধুরী (৪২) ৷ পরিবারের তরফে দাবি, গত বৃহস্পতিবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ব্যারাকপুর বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয় প্রমীলার।
এলাকার ২৫ থেকে ৩০ জন বাসিন্দা দূষিত জল খেয়ে অসুস্থ বলে দাবি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, নোংরা, দুর্গন্ধ জল। তাই খেয়ে অসুস্থ হয়েছিলেন ৷
জল দূষণের কথা স্বীকার করে নিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত কাউগাছি এক নম্বর পঞ্চায়েত। কাউগাছি এক পঞ্চায়েতের তৃমমূল নেত্রী ও প্রধান চৈতালি কর্মকার বলেন, ‘‘জল নিয়ে একটু সমস্যা হয়েছে এলাকা থেকে জল নিয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ৷’’
জল দূষণ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি। জগদ্দলের বিজেপি প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পরিস্রুত পানীয় জল দিতে পারছে না পঞ্চায়েত ৷’’
দিন দশেক আগে, ভবানীপুরের ২টি ওয়ার্ড ও আলিপুর মহিলা জেলে দূষিত পানীয় জল খেয়ে ৩ জনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ৭৩ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৫ জন ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হন। আলিপুর মহিলা জেল সূত্রে খবর, সেখানে ১২ জন ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার দূষিত জল খেয়ে মৃত্যুর অভিযোগ জগ্গদলে।
কিছুদিন আগে ভবানীপুরের শশী শেখর বসু রোড এলাকায় পানীয় জলে যে দূষণের অভিযোগ ওঠে। দূষণের কথা স্বীকার করে কলকাতা পুরসভা। তবে সেই দূষণের কারণেই যে মৃত্যু হয়েছে তা মানতে রাজি হয়নি পুরসভা৷ ভবানীপুরের ২টি ওয়ার্ড ও আলিপুর মহিলা জেলে দূষিত পানীয় জল খেয়ে ৩ জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, ৭৩ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন ডায়েরিয়ায়। পাশাপাশি, আলিপুর মহিলা জেল সূত্রে খবর, সেখানে ১২ জন ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়েছিলেন।