এক্সপ্লোর
আজ ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে, জেনে নিন, কীভাবে সুস্থ রাখবেন আপনার হৃদযন্ত্র
উচ্চ রক্তচাপ, বেশি কোলেস্টেরল, ধূমপান, ডায়াবিটিস, ভুলভাল খাওয়াদাওয়া, অতিরিক্ত ওজন, বেশি হাঁটাচলা না করা এবং অত্যন্ত মদ্যপান হৃদরোগের কারণ হতে পারে।
![আজ ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে, জেনে নিন, কীভাবে সুস্থ রাখবেন আপনার হৃদযন্ত্র World Heart Day 2020: 5 lifestyle tips for a healthy heart আজ ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে, জেনে নিন, কীভাবে সুস্থ রাখবেন আপনার হৃদযন্ত্র](https://static.abplive.com/wp-content/uploads/sites/3/2020/07/30185426/heart.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশন জানাচ্ছে, গোটা বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ হৃদরোগ। বিড়ি, সিগারেট খাওয়া থেকে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, বায়ূ দূষণ- সবই হৃদরোগ ডেকে আনতে পারে। এ বছরের বিশ্ব হৃদযন্ত্র দিবসে হার্ট ফেডারেশন ঠিক করেছে, হৃদযন্ত্রের যত্ন নেওয়ার বিষয়ে সবাইকে সচেতন করবে তারা।
আইসিএমআর রিপোর্ট বলছে, ভারতে সমস্ত বয়সীদের মধ্যে ১৯৯০ থেকে ২০১৬-র মধ্যে হৃদরোগ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। প্রতিটি রাজ্যে হৃদরোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ভারতে যত মৃত্যু হয়, তার মধ্যে প্রায় ১৮ শতাংশ মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ। ভারতে হার্ট ফেলিওরে মৃতের সংখ্যা ১০ লাখ ৩০ হাজার থেকে ২০ লাখ ৩০ হাজারের মধ্যে ঘুরছে। লোকে ভাবে, হার্ট ফেলিওর মানে হৃদযন্ত্র আর কাজ করছে না, তাকে আর কর্মক্ষম করে তোলার উপায় নেই। কিন্তু হার্ট ফেলিওরের আসল অর্থ হল, হৃদযন্ত্র যথেষ্ট পরিমাণ রক্ত পাম্প করতে পারছে না। শরীরে অক্সিজেন সঞ্চালনের জন্য এই পাম্পিং অত্যন্ত জরুরি, এর ফলে শরীরের সর্বত্র টাটকা রক্ত পৌঁছে যায়।
এছাড়া আছে আরিথমিয়া। এর ফলে হার্টবিট স্বাভাবিকভাবে আর হয় না। তবে এর কারণ ব্লকেজ নয়। কখনও কখনও হার্টবিট খুব দ্রুত হয়, কখনও অত্যন্ত ধীরে বা অনিয়মিতভাবে। হার্টবিট ঠিকভাবে না হলে হৃদযন্ত্র ফুসফুস, মস্তিষ্ক ও অন্যান্য অংশে ঠিকমত রক্ত পাম্প করতে পারে না। এতে ওই সব অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কনজেনিটাল হার্ট ডিফেক্ট হয় জন্ম থেকে। এগুলো রোগ নয়, এক ধরনের অস্বাভাবিকতা যা ভ্রূণের পরিণতির সঙ্গে দেখা দেয়। হার্ট ভালভে ত্রুটি বা ইন্টারভেন্ট্রিকুলার অথবা ইন্টার আট্রিয়াল সেপ্টামে ফুটো থাকা এর লক্ষণ। এগুলো কতটা গুরুতর তার ওপর নির্ভর করে চিকিৎসা প্রয়োজন কিনা।
কার্ডিওমায়োপ্যাথির ফলে হৃদযন্ত্র অস্বাভাবিক বড় ও মোটা হয়ে যায়। এর ফলেও রক্তের পাম্পিং ঠিকমত হয় না। এর থেকে হার্ট ফেলিওর বা আরিথমিয়া দেখা দিতে পারে।
এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, বেশি কোলেস্টেরল, ধূমপান, ডায়াবিটিস, ভুলভাল খাওয়াদাওয়া, অতিরিক্ত ওজন, বেশি হাঁটাচলা না করা এবং অত্যন্ত মদ্যপান হৃদরোগের কারণ হতে পারে।
হৃদরোগ দূরে রাখতে কী করবেন
স্বাস্থ্যকর খাবার খান
প্রসেসড ফুড, জাঙ্ক ফুড খাওয়া বন্ধ করুন। ঘরে রান্না খাবার খান, টাটকা শাকসবজি খান। চিকেন, ডিম, মাছ, মাংস খান। ভাল তেলে রান্না করুন। ডায়েটে রাখুন দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য। যে পাঁচটা গ্রুপ উল্লেখ করা হল, তার অন্তত চারটে রোজ আপনার খাবারে রাখুন।
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট
করোনা বা অন্য কিছু নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে নিজের ওপর বেশি চাপ বাড়াবেন না, শান্ত থাকার চেষ্টা করুন। ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মক্ষেত্রের মধ্যে সমতা রাখা অত্যন্ত জরুরি। চাকরি চলে যাওয়ার আতঙ্ক, চাকরি চলে যাওয়া, মেলামেশার সুযোগ না পাওয়া, আর্থিক টানাটানি- এ সব সমস্যা ঠিকই কিন্তু বিশ্বাস রাখুন, একদিন আবার সব কিছু স্বাভাবিক হবে। ফোকাসড থাকুন, শান্ত থাকুন।
ব্যায়াম
রোজ অন্তত ৪৫ মিনিট করে ব্যায়াম করুন। হাঁটুন, দেখুন, রোজ যেন ১০,০০০ পা ফেলেন।
ঘুম
হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে যথেষ্ট ঘুম জরুরি। ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার ক্ষেত্রে অনেকেই দুপুরে ঘুমোচ্ছেন আর অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকছেন। এটা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোনোর চেষ্টা করুন।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি। প্রতি ৬ মাসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)