(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
ব্রহ্মপুত্রের জল শিনজিয়াংয়ে পাঠাতে ১ হাজার কিলোমিটার লম্বা সুড়ঙ্গের পরিকল্পনা চিনের
বেজিং: ব্রহ্মপুত্র নদের জল তিব্বত থেকে প্রায় শুকিয়ে যাওয়া শিনজিয়াং প্রদেশে পাঠাতে দীর্ঘ এক হাজার কিলোমিটার সুড়ঙ্গ তৈরি করার ভাবনাচিন্তা করছে চিন।
জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত সুড়ঙ্গটি দক্ষিণ তিব্বতের ইয়ার্লাং সাংপো নদীর(যা ভারতে ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত) জল থেকে বিভিন্ন জলপ্রপাত ও ঝরনার মাধ্যমে তার পথ পরিবর্তন করে নীচে নামিয়ে শিনজিয়াং প্রদেশের তাকলামাকান মরুভূমিতে নিয়ে গিয়ে ফেলা হবে।
প্রসঙ্গত, চিনের বৃহত্তম প্রশাসনিক ডিভিশন শিনজিয়াং মূলত মরুভূমি ও শুষ্ক তৃণভূমিতে ঘেরা। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই পরিকল্পনা সফল হলে, শিনজিয়াং একদিকে ক্যালিফর্নিয়ায় পরিণত হবে। কিন্তু, উল্টোদিকে হিমালয় অঞ্চলে এর কু-প্রভাব সুদূরপ্রসারী হবে।
প্রসঙ্গত, চিনের এখনও পর্যন্ত বৃহত্তম সুড়ঙ্গ হল লিয়াওনিং প্রদেশের ৮৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দাহুওফাং জলপ্রকল্প। অন্যদিকে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সুড়ঙ্গ হল নিউইয়র্ক শহরের নীচ দিয়ে বহমান ১৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ জল সরবরাহ পাইপলাইন।
অতীতে, ব্রহ্মপুত্রের ওপর চিনের একাধিক বাঁধ-নির্মাণ নিয়ে অসন্তোষ ও আপত্তি জানিয়েছে ভারত। যদিও, বাঁধ হলেও জলাধার তৈরি করার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে নয়াদিল্লি ও ঢাকাকে আশ্বস্ত করেছে বেজিং।
গত মার্চ মাসে তিব্বত-শিনজিয়াং সুড়ঙ্গের খসড়া প্রস্তাব সরকারের সামনে পেশ করা হয়। ওই খসড়ায় ভূমিকা ছিল প্রায় ১০০ জন বিজ্ঞানীর। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ তিব্বতের সাংরি প্রদেশ থেকে ব্রহ্মপুত্রের জল টেনে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে খসড়ায়।
বিজ্ঞানীদের প্রস্তাব, নদের মাঝে একটি কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করা হবে। যা নদের জলে তোড় নিয়ে আসবে। এর ফলে, নদে জমা পলি ওই তোড়ে ভেসে যাবে। আর জল নির্দিষ্ট সুড়ঙ্গে প্রবেশ করবে।
ইতিমধ্যেই গত অগাস্ট মাস থেকে ইউনান প্রদেশে ৬০০ কিলোমিটার লম্বা একটি সুড়ঙ্গ তৈরি করছে চিনা প্রশাসন। জানা গিয়েছে, নতুন প্রযুক্তিকে এখানে পরীক্ষা করা হবে।