Donald Trump : রামধনু নয় কালো মেঘ ! এবার ট্রাম্প-হুকুমে মার্কিন সেনাবাহিনী থেকে চাকরি যেতে পারে হাজার হাজার রূপান্তরকামীর
সম্প্রতি চমকে দিয়েছে সানডে টাইমসের একটি রিপোর্ট। এবার মার্কিন সেনাবাহিনীতে জায়গা হবে না LGBTQIA+সদস্যদের।
ওয়াশিংটন : ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরার পরই তৈরি হয়েছিল আতঙ্ক। এবার সেই আগুনে পড়ল ঘৃতাহুতি। মার্কিন মুলুকে ত্রস্ত এবার রূপান্তরকামীরা। LGBTQIA+ কমিউনিটির জন্য ভয়ঙ্কর খারাপ খবর ভাসছে আমেরিকায়। সম্প্রতি চমকে দিয়েছে সানডে টাইমসের একটি রিপোর্ট। এবার মার্কিন সেনাবাহিনীতে জায়গা হবে না LGBTQIA+সদস্যদের।
সানডে টাইমস-এর রিপোর্টে দাবি, মার্কিন সেনাবাহিনী থেকে ট্রান্সজেন্ডারদের সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমানে মার্কিন সামরিক বাহিনীতে প্রায় ১৫ হাজার ট্রান্সজেন্ডার কাজ করছেন। মার্কিন সেনাবাহিনীতে LGBTQIA+ সদস্যদের থাকার বিরোধিতা করেছিলেন ট্রাম্প। প্রথম মেয়াদেই সেনাবাহিনী থেকে ট্রান্সজেন্ডারদের সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। দ্য সানডে টাইমস এর রিপোর্ট অনুসারে, ট্রান্সজেন্ডারদের মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে বাদ দেওয়া হতে পারে। অর্থাৎ তাঁদের "আনফিট" বলে দেওয়া হতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদেও একই রকম আদেশ জারি করেছিলেন। তিনি ট্রান্সজেন্ডারদের সশস্ত্র বাহিনীতে চাননি। তাই নতুন করে সামরিক ক্ষেত্রে LGBTQIA+ সদস্যদের যোগ দিতে বাধা দিয়েছিলেন । তবে ইতিমধ্যে যাঁরা চাকরি করছেন তাঁরা চাকরি চালিয়ে যেতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে, রিপোর্ট অনুসারে, এবার LGBTQIA+ সদস্য, এমন যাঁরা বর্তমানে চাকরি করছেন, তাঁদেরও সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
আগামী বছর ২০ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি হিসাবে তাঁর প্রথম দিনেই এই আদেশ জারি হতে পারে বলে জল্পনা।
বর্তমানে মার্কিন সামরিক বাহিনীতে প্রায় ১৫ হাজার ট্রান্সজেন্ডার কাজ করছেন। রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সামরিক ক্ষেত্রে ট্রান্সজেন্ডারদের যোগ দেওয়া নিয়ে ট্রাম্পের জারি করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিলেন।
ট্রাম্প তাঁর প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম পর্যায়ে খুব কঠোর ভাবেই রূপান্তরকামীদের সেনাবাহিনীতে থাকার বিরোধিতা করেছিলেন। ট্যুইট করেছিলেন, মার্কিন সেনাবাহিনীর কোনো বিভাগে রূপান্তরকামী কোনও ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সুযোগ দেবে না । মার্কিন সেনাবাহিনীর একমাত্র লক্ষ্যই হল যুদ্ধে জয় পাওয়া । রূপান্তরকামীদের এই বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত করা মানেই তাঁদের চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত ব্যয় বহন করা। জেনারেল ও সামরিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান ট্রাম্প। তারপর চাকরিক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য জারি করার অভিযোগ এনে সে সময় সশস্ত্র বাহিনীর ৫ সদস্য মামলা করেন। মামলাকারীরা আদালতে জানায় , মার্কিন সংবিধান সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করে। এই নিষেধাজ্ঞা সংবিধানের সেই নীতিকেই লঙ্ঘন করা।
এরপর ট্রাম্পের শাসন শেষ হলে সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়। তবে বাইডেনের পর আবার এখন ট্রাম্প জমানা। তাহলে কি LGBTQIA+ দের জন্য ফিরে আসবে সেই কালো সময়?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে