ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকম্পে মৃত বেড়ে ৯৭, পরপর ৫টি আফটার শক অনুভূত
সুমাত্রা: ভূমিকম্পে তছনছ ইন্দোনেশিয়া। কার্যত ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে উত্তর সুমাত্রা। উদ্ধার ৯৭টি দেহ। ঘুমের মধ্যেই শেষ শতাধিক জীবন! ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই সব কিছু তছনছ। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ধ্বংসের চিহ্ন! ফের বিধ্বংসী ভূমিকম্পের কবলে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা। ফিরে এল ২০০৪-এর আতঙ্ক। রিখটর স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৫। কম্পনের উৎসস্থল সিগলি থেকে ১৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, ভূপৃষ্ঠের ১৭ কিলোমিটার গভীরে। বুধবার, স্থানীয় সময়ে তখন ভোর ৫টা। হঠাত্ই কেঁপে ওঠে ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রার পিদি জায়া। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে একের পর এক বাড়ি। চোখ খোলার সময়টকুও পাননি অনেকে। যাঁদের ঘুম ভাঙে, তাঁরা কোনও মতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে রক্ষা পান। আর যাঁরা পারেননি। ঘুমের মধ্যেই ডুবে যান চিরঘুমে। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে যখন উদ্ধার কাজ শুরু করে প্রশাসন, তখন সব শেষ। ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে উদ্ধার হয় একের পর এক দেহ। এখনও ধ্বংসস্তূপে অনেকে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা। এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকবার আফটার শক অনুভূত হয়েছে। যার জেরে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। তবে এখনও পর্যন্ত সুনামি সতর্কতা জারি হয়নি। ২০০৪ সালে ভূমিকম্প ও সুনামির জেরে কার্যত মৃত্যুপুরীর চেহারা নিয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা। তারপর একাধিকবার কেঁপে উঠেছে এই দ্বীপ রাষ্ট্র। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। বুধবার ভোরের কম্পন উস্কে দিল ২০০৪-র সেই ভয়াবহ স্মৃতি।