Chinese Missiles in Japan: তাইওয়ান নিয়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, তার মধ্যেই জাপানে আছড়ে পড়ল ৫ চিনা ক্ষেপণাস্ত্র
China-Taiwan Conflict: আমেরিকার হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফর ঘিরে নতুন করে অশান্তির সূত্রপাত। তাইওয়ানের আকাশসীমায় ২৭টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চিন।
টোকিও: তাইওয়ানকে (China-Taiwan Conflict) ঘিরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে ক্রমশ। তার মধ্যেই একটি বা দু’টি নয়, জাপানের অর্থনৈতিক অঞ্চলে চিনের ছোড়া পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ল (Chinese Missiles Land in Japan)। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নবুও কিশি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০০ নটিক্যাল মাইল (৩৭০ কিলোমিটার) পর্যন্ত বিস্তৃত জাপান উপকূলীয় অঞ্চলের অন্তর্গত এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন (EEZ) -এর মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আছড়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের হাতেরুমা দ্বীপের কাছে ওকিনাওয়া সমুদ্র এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আছড়ে পড়েছে বলে জানানো হয়েছে।
জাপানের অর্থনৈতিক অঞ্চলে আছড়ে পড়ল চিনা ক্ষেপণাস্ত্র
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বেজিং-এর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কিশি। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয়। দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা জড়িয়ে রয়েছে। বেজিংয়ের কাছে কূটনৈতিক ভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছি আমরা।’’
BREAKING: Japan defense chief says five missiles launches by China during military drills near Taiwan fell into Japan’s exclusive economic zone.
— Jesse Johnson (@jljzen) August 4, 2022
আমেরিকার হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy pelosi) সফর ঘিরে নতুন করে অশান্তির সূত্রপাত ঘটেছে উপমহাদেশীয় রাজনীতিতে। বুধবার তাইওয়ান সফর সেরে জাপান রওনা দেন ন্যান্সি। আর তার পরই তাইওয়ানের আকাশসীমায় ২৭টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চিন। ক্ষেপণাস্ত্র, নৌবাহিনী, বায়ুসেনা নিয়ে জলসীমা বরাবর তাইওয়ানকে ঘিরে ধরতে শুরু করেছে তারা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাইওয়ানের উত্তর, পূর্ব এবং দক্ষিণে সবমিলিয়ে তারা ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে বলে জানিয়েছে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকই। তার মধ্যেই থেকেই পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের অর্থনৈতিক অঞ্চলে গিয়ে পড়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
জাপানের প্রতিরক্ষা দফতর প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, চিনের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথ অনুসরণ করে দেখা গিয়েছে, তাইপেই পেরিয়ে সেটি জাপানের অর্থনৈতিক অঞ্চলে এসে পড়েছে। তাতেই দুই দেশের মধ্যে সংঘাত বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নিয়ে চিনের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জাাননো হয়নি।
স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানের উপর বেশ কয়েক দশক ধরেই নজর চিনের। তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে মনে করে তারা। প্রয়োজনে বলপূর্বক তাইওয়ানের দখল নিতেও প্রস্তুত বলে এর আগে একাধিক বার জানিয়েছে তারা। এর পাল্টা তাইওয়ানের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। দীর্ঘ ২৫ বছর পর সম্প্রতি তাইওয়ান সফরে আসেন তাদের হাউস স্পিকার ন্যান্সি। তার পর থেকেই তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক সক্রিয়তা বাড়িয়েছে চিন।
তাইওয়ান ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে ক্রমশ
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাইওয়ানকে ক্রমশ ঘিরে ফেলতে শুরু করেছে চিন, অন্তত তাইওয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। তাদের দাবি, ক্ষেপণাস্ত্র (Ballistic Missile), বায়ুসেনা, নৌবহর নিয়ে তাইওয়ানের জলসীমায় পৌঁছে গিয়েছে চিন। দুপুর ১টা বেজে ৫৬ মিনিটে দেশের উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ—পশ্চিম জলসীমায় চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি একাধিক দোংফেং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (চিনা রকেট বাহিনীর হাতে থাকা স্বল্প থেকে মাঝারি দূরত্বের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র) উৎক্ষেপণ করেছে। তাইওয়ান সেনা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে।