কুলভূষণকে কনস্যুলার অ্যাকসেস না দিয়ে ভিয়েনা চুক্তি ভেঙেছে পাকিস্তান, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে রিপোর্ট আইসিজে-র
বুধবার ১৯৩ সদস্যের সাধারণ অধিবেশনে কুলভূষণ মামলার নথি পেশ করেন আইসিজে-র প্রেসিডেন্ট বিচারক আব্দুলকায়ি ইউসুফ।
দ্য হেগ: কুলভূষণ যাদব মামলায় ভারতকে কনস্যুলার অ্যাকসেস (মামলায় কুলভূষণকে সহায়তা প্রদানের করার অনুমতি) দিতে অস্বীকার করে ভিয়েনা চুক্তিভঙ্গ করেছে পাকিস্তান। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে এমনটাই জানাল আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত (আইসিজে)। বুধবার ১৯৩ সদস্যের সাধারণ অধিবেশনে কুলভূষণ মামলার নথি পেশ করেন আইসিজে-র প্রেসিডেন্ট বিচারক আব্দুলকায়ি ইউসুফ। সেখানে তিনি নিজের ১৭ জুলাইয়ের রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে জানান, আন্তর্জাতিক আদালত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, ভিয়েনা কনভেনশনের ৩৬ নম্বর অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করেছে পাকিস্তান এই বলে যে, এই সংক্রান্ত সুবিধা চরবৃক্তির অভিযোগে অভিযুক্ত বন্দিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। গত ১৭ জুলাই, ভারতের পক্ষে রায় দিয়ে কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত। একইসঙ্গে পাকিস্তানকে নির্দেশ দেয় জানিয়ে দেয়-- প্রথমত, অবিলম্বে কুলভূষণকে কনস্যুলার অ্যাকসেস দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, কুলভূষণ মামলা ও শাস্তির পুনর্বিচার করতে হবে। আইসিজে-র রায়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তান রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে আবেদন জানায়। সেখানে তারা দাবি করে, কুলভূষণের বিরুদ্ধে যেহেতু চরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে, তাই তাঁকে ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কনস্যুলার অ্যাকসেস দেওয়ার কোনও সংস্থান নেই। কিন্তু, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনের সামনে আইসিজে বিচারক আব্দুলকায়ি ইউসুফ সাফ জানিয়ে দেন, ওই অনুচ্ছেদে এমন কিছু লেখা নেই যে চরবৃত্তি বা ওই ধরনের কোনও অভিযোগ থাকলে কনস্যুলার অ্যাকসেস দেওয়া হবে না। ফলত, পাকিস্তানের দাবি অন্যায্য। প্রসঙ্গত, ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন অফিসার কুলভূষণ যাদবকে ‘চরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদ’-এর অভিযোগে ২০১৬ সালে গ্রেফতার করে পাকিস্তান। ২০১৭ সালের এপ্রিলে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাক সামরিক আদালত। পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ভারত স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, কুলভূষণ ইরান থেকে নিজের ব্যবসা চালাচ্ছিল। তাঁকে অন্যায়ভাবে অপহরণ করে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।