এক্সপ্লোর
Israel-Hamas War: ১৫ মাসের যুদ্ধে বলি প্রায় ৪৭০০০, শিশু ১৮০০০, খাদ্য-বাসস্থান নেই কিছুই, যুদ্ধ থামলেও গাজা কি সেরে উঠবে?
War on Gaza: যুদ্ধ থামলেও, গাজা কি বাঁচবে? প্রশ্ন অনেক। —ফাইল চিত্র।
—ফাইল চিত্র।
1/12

এক বছর তিন মাস ধরে চলছে যুদ্ধ। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হল ইরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের হামাস সংগঠন। লিখিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি এখনও। তবে মিশর, কাতার এবং আমেরিকার হস্তক্ষেপে শান্তিস্থাপনে সম্মতি হয়েছে দুই পক্ষ।
2/12

ধাপে ধাপে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে বলে জানা গিয়েছে। গাজা থেকে সেনা তুলে নিতে হবে ইজরায়েলকে। ঘরছাড়া বাসিন্দাদের নিজের বাড়িতে ফিরতে অনুমতি দিতে হবে। কিন্তু তাঁরা কোথায় ফিরবেন, তার উত্তর নেই। কারণ ইজরায়েলি হামলায় গাজা প্রায় মাটিতে মিশে গিয়েছে। অবশিষ্ট নেই কিছুই।
3/12

গত ১৫ মাস, অর্থাৎ ৪৬৭ দিন ধরে অবিরাম যুদ্ধ চলেছে ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে। প্রতিদিন মুহুর্মুহু বোমা বর্ষণ করা হয়েছে গাজায়। বাড়িঘর, হাসপাতাল, স্কুল, কিছুই রক্ষা পায়নি। হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন বহু।
4/12

গৃহহীন কয়েক লক্ষ। ধ্বংসস্তূপে মাথা গুঁজে রয়েছেন যাঁরা, অনাহারে, অসুস্থতায় কাটছে দিন। গাজায় মানবিক সাহায্য, ত্রাণ পর্যন্ত ইজরায়েলি সেনা ঢুকতে দেয়নি বলে অভিযোগ। তাই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, গাজার সেরে উঠতে অনেক সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।
5/12

গত ১৫ মাসে ইজরায়েলি হামলায় প্রায় ৪৭ হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে নিহত শিশুর সংখ্যা ১৮ হাজারের বেশি। অর্থাৎ প্যালেস্তাইনের মোট জনসংখ্যার নিরিখে প্রতি ৫০ জনে একজন মারা গিয়েছেন যুদ্ধে। যদিও প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি বলে মত মানবাধিকার সংগঠনগুলির। এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে বহু দেহ পড়ে রয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
6/12

ইজরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১ লক্ষ ১০ হাজার ৩০০ মানুষ আহত হয়েছেন গাজায়। অর্থাৎ প্রতি ২০ জনে একজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ২২ হাজার ৫০০-র বেশি মানুষের অঙ্গহানি হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশেরই পা বাদ গিয়েছে শরীর থেকে। তাঁদের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানা যায়নি।
7/12

রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ প্যালেস্তিনীয় শিশু একটি বা দু'টি পা হারাচ্ছে। অ্যানাস্থেশিয়া না থাকায় সজাগ রেখে কোনও রকমে অস্ত্রোপচার হচ্ছে তাদের। টনটনে জ্ঞান থাকা অবস্থাতেই বাদ দিতে হচ্ছে হাত-পা।
8/12

Environmental Quality Authority of Palestine জানিয়েছে, গত ১৫ মাসে শুধুমাত্র গাজাতেই ৮৫০০০ টন বিস্ফোরক ফেলেছে ইজরায়েল। প্রায় ৪ কোটি ২০ লক্ষ টন ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে, যা পরিষ্কার করাতেও বিপদ রয়েছে। ধ্বংস্তূপে চাপা পড়ে থাকা বোমা-রকেট বিস্ফোরণ ঘটলে আরও প্রাণহানির হবে বলে আশঙ্কা।
9/12

যুদ্ধ পরিস্থিতিতে গাজায় জল সরবরাহও ইজরায়েল বন্ধ করে দেয় বলে জানা যায়। খাদ্য ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রীও গাজায় পৌঁছতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। ত্রাণকর্মীদের উপরও হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে বেশ কিছু সদ্যোজাত শিশুও মারা গিয়েছে সেখানে।
10/12

গাজার প্রায় ২০ লক্ষ বাসিন্দা ঘরবাড়ি হারিয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছেন। দেশের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ অস্থায়ী তাঁবুতে রয়েছেন। শীতের পোশাকও নেই তাঁদের। প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ বন্যাদুর্গত এলাকায় রয়েছেন। ২২ লক্ষ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ইজরায়েল সাহায্য পৌঁছতে না দিলে খাদ্যের অবাবেই ১০ লক্ষ প্যালেস্তিনীয়ের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা।
11/12

প্যালেস্তাইনের উপর ইজরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে বহু দশক ধরেই তপ্ত পশ্চিম এশিয়া। তবে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ছোড়ে হামাস। আর তার পরই শুরু হয় ভীষণ যুদ্ধ।
12/12

রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলির তরফে বার বার আবেদন করেও লাভ হয়নি। গাজা, ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে হামলা চালানো বন্ধ করেনি ইজরায়েল। ফলে হতাহতের সংখ্যা লাগাতার বাড়তে থাকে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও ওঠে। তার পরও হামলা বন্ধ হয়নি। তাই গাজাকে ফের সারিয়ে তোলা কতদূর সম্ভব হবে, সেই নিয়ে সংশয় রয়েছে।
Published at : 16 Jan 2025 02:18 PM (IST)
আরও দেখুন
Advertisement
Advertisement























