এক্সপ্লোর
Advertisement
খেলার মাঠ হবে না কবরখানা? অ্যাবোটাবাদে লাদেনের সেই বাড়ি নিয়ে বিরোধে সেনা, প্রশাসন
পেশোয়ার: স্থানীয় কর্তৃপক্ষ চায় ওখানে বাচ্চাদের খেলার মাঠ হোক। কিন্তু সেনাবাহিনীর ইচ্ছা, ওখানে তৈরি করা হোক কবরখানা। কারণ এলাকায় একটিও কবরখানা নেই। পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের যে বাড়িতে ওসামা বিন লাদেন বাইরের দুনিয়ার চোখে ধুলো দিয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর ২০১১ সালে মার্কিন সিল বাহিনীর অভিযানে খতম হন, সেটি নিয়ে এহেন দড়ি টানাটানি চলছে দু পক্ষের মধ্যে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
ওই বাড়ি-জমির মালিকানা, দখল নিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও সেনা কর্তৃপক্ষ। রিপোর্টে প্রকাশ, বিষয়টি জটিল আকার নিয়েছে গত বুধবার স্থানীয় প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে পাঁচিল তুলে ওই কম্পাউন্ড ঘিরে ফেলার পর।
লাদেন ২০১১-র ২ মে নিহত হওয়ার আগে দীর্ঘদিন উঁচু পাঁচিলে ঘেরা ওই তিনতলা বাড়িতে আত্মগোপন করে ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর গোটা বাড়ি, জমিটাই তুলে দেওয়া হয় খাইবার পাখতুনওয়া সরকারের হাতে। ওখানে লাদেনের স্মৃতি আছে বলে যাতে জেহাদিদের আনাগোনা না বাড়ে, তাদের কাছে বাড়িটা পুণ্যভূমি না হয়ে ওঠে, সেজন্য সরকার গোটা বাড়িটা ভেঙে ফেলে চারদিকের পাঁচিলও গুঁড়িয়ে দেয়। তখন থেকে ফাঁকাই পড়ে ছিল জায়গাটা। এতদিনে আশপাশে জনবসতি গড়ে উঠেছে। আর তার মধ্যেই কোন কাজে লাগানো হবে ওই জমি, মালিকানাই বা কার থাকবে, এ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। গত মে মাসে সেনা পরিচালিত অ্যাবোটাবাদ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কাঁটাতারের বেড়া বসিয়ে জমিটি দখল করে। তবে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ বিরোধিতা করায় বেড়া সরিয়ে দেয় তারা। কিন্তু এবার বোর্ড এক মিটার উঁচু পাঁচিল দিয়ে জমিটি ঘিরে দিয়েছে।
বোর্ডের কাউন্সিল সদস্য বসির খান জানাচ্ছেন, ওখানে কবরখানা তৈরি হবে, ঠিক করে ফেলেছে সেনা। কিন্তু জনবসতি আছে, এমন জায়গায় কবরখানা হতে পারে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন খাইবার পাখতুনওয়ার তথ্যমন্ত্রী মুস্তাক গণি। তাছাড়া, যে জমির চারপাশে ওরা পাঁচিল তুলেছে, সেটি প্রাদেশিক সরকারের। ওখানে সরকার বাচ্চাদের খেলার মাঠ করতে চায় বলে জানান তিনি।
তবে সেনা, সরকারের এই বিরোধের মধ্যে স্থানীয় কেউ কেউ বলছেন, ওখানে গড়ে উঠুক মেয়েদের স্কুল। আবার কোনও সামরিক অফিসারের প্রস্তাব, ওখানে তৈরি হোক বিনোদন পার্ক যা থেকে প্রশাসনের আয় হবে।
তবে একটি বিষয়ে সবাই একমত, ওখানে লাদেনের কোনও চিহ্ন থাকা চলবে না। সাবধান থাকতে হবে। লাদেনের স্মৃতি ফেরানো চলবে নো কোনওমতেই।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
খবর
বিনোদনের
জেলার
Advertisement